শরতের বাগানে ফুটেছে কাশ, সনাতনী সম্প্রদায়ের দেবী দূর্গার আগমনী বার্তায় মুখরিত চারিপাশ। সপ্তাহ ব্যবধানে শুরু হবে সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা।
শেষ মূহুর্তে পুজোর প্রতিমা তৈরীতে দিন-রাত কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। কুমিল্লার মুরাদনগরের ঐতিহাসিক পূজা মন্ডপগুলো ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছে বেশির ভাগ কাজ। উপজেলার দুই থানায় শতবর্ষী পূজাগুলোর মাঝে এবছর হচ্ছে না কয়েকটি পূজা। রহিমপুর পোদ্দার বাড়ীর অদ্রি পোদ্দার বলেন, আমাদের জমিদার বাড়ির পূজাটি শতবর্ষী।
বাবার মুখে শুনেছি দাদু, প্রৌপিতামহের আমলেও এই মণ্ডপে পূজা হতো জাঁকজমকপূর্ণ। পূজা ঘনিয়ে আসায় আমাদের পূজার অধিকাংশ প্রস্তুতি শেষের পথে। শেষ মূহুর্তে কারিগররা প্রতিমার রূপ ফুটিয়ে তুলতে ব্যস্ত। আশা করছি, মহাষষ্ঠীর পূর্বেই প্রতিমা তৈরী সম্পন্ন করতে পারবে তারা। উপজেলায় গতবছর ১৪৯ টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হলেও এবছর কমেছে অনেকগুলো পূজার সংখ্যা। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের দুরদর্শিতায় উপজেলায় সনাতনীদের উপর হামলার ঘটনা লক্ষ্য করা যায় নি।
এছাড়াও তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন সনাতনীদের পূজায় সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে। মুরাদনগরে কর্মরত প্রতিমা কারিগররা বলছেন, বছরের অধিকাংশ সময় আমরা অলস ভাবে পার করি। অক্টোবর – নভেম্বর মাস আসলে মায়ের পুজোর প্রতিমা তৈরীর কাজ আসে। একসাথে কয়েকটা প্রতিমার কাজ নেওয়ার কারণে ব্যস্ততা একটু বেশি। পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় এবছর কমেছে পূজার সংখ্যা তাই আমাদের ইনকাম কমেছে। অর্ডার কম থাকায় কাজের চাপও কম রয়েছে এবছর।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিত্যানন্দ রায় বলেন, এখনো কোনো মন্ডপের প্রতিমা তৈরী শতভাগ সম্পন্ন হয়নি। ষষ্ঠীর পূর্বে শতভাগ সম্পন্ন করতে কাজ করে যাচ্ছে সার্বক্ষণিক। পূজা উপলক্ষে ইউএনও অফিস ও মুরাদনগর ও বাঙ্গরা থানায় আইনশৃঙ্খলা মিটিং হবে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বন্যার ক্ষতি সবকিছু মিলিয়ে পূজার সংখ্যা কমেছে।