কুমিল্লার জেলার ২টি থানা নিয়ে গঠিত বৃহত্তর মুরাদনগর উপজেলা। উপজেলাটির বিভিন্ন প্রান্তের সর্বস্তরের মানুষের ভরসাস্থল সরকারি হাসপাতাল। সল্প আয়ের মানুষদের পক্ষে সম্ভব হয় না অতিরিক্ত খরচ করে বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো। যেকোনো সমস্যায় প্রায় সাড়ে ৮লক্ষ মানুষের প্রথম ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
মানুষের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তিতে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকে পদ রয়েছে ১০টি৷ মেডিসিন, কার্ডিওলজি, গাইনী, এনেস্থেসিয়া, শিশু ও অর্থোপেডিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু সার্জারি, নাক-কান-গলা, অপথালমোলজি (চোখ), ডার্মাটোলজি (চর্ম) রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই দীর্ঘদিন যাবৎ।
যে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন তারা বৃহত্তর উপজেলার অধিকসংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রচুর হিমসিম খাচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই ব্যহত হচ্ছে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার স্বাস্থ্যসেবা।
গোমতীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৃষ্ট বন্যায় কিছুদিন পূর্বে ডুবে গিয়েছিল অধিকাংশ গ্রাম। পানি সরে যাওয়ার পরেই মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ও চর্মরোগ। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অন্য রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে সেবা নিতে বাধ্য হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা।
বছরপূর্বে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির অপারেশন থিয়েটার সংস্কার করে শুরু হয়েছিল সন্তান প্রসব কার্যক্রম। সেটির ধারাবাহিকতা বজায় থাকায় গর্ভবতী মাহিলাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল ও সিজার ডেলিভারি করিয়ে নিতে পারছে। এক্সরে, ইসিজি সহ বেশকিছু সেবা সল্পমূল্যে পেয়ে থাকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীগুলো।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সরকারি হাসপাতালে সব বড় বড় ভালো ডাক্তার রোগী দেখেন। তারা সবাই সব চিকিৎসা দিয়ে থাকেন সত্য তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখলে সেটা বেশি কার্যকর হয়ে থাকে। আমাদের হাসপাতালে দীর্ঘদিন চর্মরোগের চিকিৎসক নেই। যেসব পদে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই সেসকল পদে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নিকট অনুরোধ থাকবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক বলেন, আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভাব রয়েছে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের সেবা দিতে চেষ্টা করি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অভাব পূরণ হলে এতবড় উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার মান আরও বৃদ্ধি পাবে।