বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
হুটহাট করে জামিন না দেয়ার আহ্বান আসিফ নজরুলের চলমান অভিযানের পর আর কোনো ডেভিল থাকবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি : কমিশনার সানাউল্লাহ শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান দুই ধাপ পিছিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১৪তম বইমেলার স্টলে হট্টগোলের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান দ্রুত নির্বাচনের রোড ম্যাপ দেবেন : মির্জা ফখরুল গুয়াতেমালায় বাস খাদে পড়ে ৫৫ জন নিহত ১০০ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা তসলিমা নাসরিনের ‘চুম্বন’ বই ঘিরে বইমেলায় উত্তেজনা, স্টল বন্ধ বিশ্ব প্রযুক্তি কাঁপিয়ে দিলো নতুন চীনা এআই ডিপসিক সোনার দামে রেকর্ড, দেড় লাখ ছুঁয়েছে ভরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাল্টিফেইথ কর্মশালা রাজশাহীতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ নিয়মিত অভিযানে গ্রেপ্তার ৫৪ সীমান্তে বিএসএফ’র সিসি ক্যামেরা স্থাপন, বিজিবি’র প্রতিবাদ ‘ডেভিল হান্ট অভিযানে রাঘববোয়াল-চুনোপুঁটি কেউ ছাড় পাবে না’ খুলনায় প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বখাটের ছুরিকাঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত, ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড শ্যামপুরে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন, ৭ ইউনিটের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে যে ৫ খাবার পানিশূন্যতা কমাবে সিলেটে ৭৩ হাজার উচ্চ রক্তচাপ রোগীর ৫৮ ভাগেরই রোগ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড জিতলেন আরটিভির সেলিম মালিক বিজ্ঞাপন ও পণ্যের প্রচারণায় ব্যস্ত মিম সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার গ্রেপ্তার ৫ যুবককে অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতার ১ তাপমাত্রা ও বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা শাহবাগে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পতিত সরকারের রেখে যাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে

মোনালিসার ছবি এত বিখ্যাত হওয়ার কারণ কী?

অনলাইন ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ১০:৩০ পূর্বাহ্ন

ঢাকাপ্রতিদিন অন্যান্য ডেস্ক : ঠোঁটের কোণে বিষাদ মেশানো মৃদু হাসি। মায়াময় দুটি চোখ। অনাড়ম্বর সাজপোশাক। লিওনার্দো দা ভিঞ্চি তার অনন্য সৃষ্টি ‘মোনালিসা’কে এভাবেই ফুটিয়ে তুলেছেন তুলির আঁচড়ে।

৫০০ বছরের বেশি সময় আগে আঁকা এই চিত্রকর্ম থেকে আজও চোখ ফেরানোর উপায় নেই। রেনেসাঁ যুগের চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চির আঁকা এই ছবিই সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত চিত্রকর্ম।

যুগে যুগে আরো অনেক শিল্পীই এমন ছবি এঁকেছেন, যা শিল্পগুণের দিক থেকে ‘মাস্টারপিস’। কিন্তু সেসব চিত্রকর্মের চেয়ে মোনালিসার ছবি অনেক বেশি বিখ্যাত এবং পরিচিত।

মোনালিসার বিখ্যাত হওয়ার কারণ নিয়ে যুগ যুগ ধরে কম আলোচনা হয়নি। বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল শিল্পগুণই নয়, ছবিটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য এবং একাধিক ঘটনা এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় চিত্রকর্মগুলোর একটি করার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।

যেভাবে সৃষ্টি হয় মোনালিসা

কথিত আছে, ১৫০৩ থেকে ১৫১৭ সাল পর্যন্ত বিখ্যাত এই ছবি আঁকেন লিওনার্দো দা ভিঞ্চি। গবেষণাভিত্তিক অলাভজনক সংবাদমাধ্যম দ্য কনভার্সেশনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, মোনালিসার ছবিটি আঁকা হয়েছিল একজন সিল্ক ব্যবসায়ীর অনুরোধে।

ইতালিতে যেকোনো নারীকে ‘মোনা’ বলে সম্বোধন করা হতো। আর ছবিতে থাকা নারীর নাম লিসা। শব্দ দুটি মিলিয়ে ছবিটির নাম হয় ‘মোনালিসা’। তবে ছবিটি আসলেই তার ছিল কি না, এ নিয়েও আছে বিতর্ক।

ছবিটির সঙ্গে লিওনার্দোর চেহারার অনেক বৈশিষ্ট্যের মিল থাকায় অনেকেই মনে করেন, এটি আসলে শিল্পীর নিজেরই ছবি।

আবার অনেকের ধারণা, এটি লিওনার্দোর মা কিংবা তার বান্ধবীর পোর্ট্রেট।

সর্বশেষ ২০১৫ সালে প্রচলিত সব তত্ত্বকে চ্যালেঞ্জ করেন প্যারিসের বিজ্ঞানী পাসকাল কোট। ১০ বছর ধরে গবেষণার পর এই গবেষক দাবি করেন, পোর্ট্রেটের রহস্যময়ী এই নারী অন্য কেউ ছিলেন। তবে লিওনার্দোকে নিয়ে যাঁরা গবেষণা করেছেন তাদের অনেকেই নতুন তত্ত্বটিকে তেমন গুরুত্ব দেননি।

‘অমূল্য’ মোনালিসা

ইতিহাস, দর্শন ও শিল্প নিয়ে কাজ করা প্ল্যাটফরম দ্য কালেক্টর বলছে, ১৮০৪ সাল থেকে চিত্রকর্মটি ল্যুভর জাদুঘরে আছে।

আইন অনুসারেই ছবিটি ফরাসি নাগরিকদের। ফলে এটি বিক্রি করা অত্যন্ত কঠিন। সব মিলিয়ে এর দাম নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব।

তবে ১৯৬২ সালে যখন একে ইনস্যুরেন্সের অধীনে আনা হয়, তখন এর মূল্য ধরা হয়েছিল ১০ কোটি ডলার, মূল্যস্ফীতির হিসাব ধরেই বর্তমানে যার বাজারমূল্য হতে পারে ৮৩ কোটি ডলারের বেশি।

এদিকে ২০২০ সালে ফরাসি উদ্যোক্তা স্টিফেন ডিস্টিংগুইন বলেছিলেন, মহামারির বিপর্যয়কর প্রভাব থেকে ফ্রান্সকে পুনরুদ্ধারে ‘মোনালিসা’কে বিক্রি করা যেতে পারে। আর ছবিটি যে পরিমাণ রাজস্ব এনেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে এর দাম পাঁচ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে বলেও সে সময় মন্তব্য করেন তিনি। তবে দাম নিয়ে তার এই মত খারিজ করে দেন শিল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জর্জিও ভাসারি
লিওনার্দোসহ ইতালির শিল্পীদের জীবনী নিয়ে ১৫৫০ সালে একটি বই লেখেন জর্জিও ভাসারি

মোনালিসার বৈশিষ্ট্য

বলা হয়, মোনালিসা ছিল লিওনার্দোর নিজের আঁকা সবচেয়ে প্রিয় ছবিগুলোর একটি। যদিও মৃত্যুর আগে লিওনার্দো ছবিটির কাজ শেষ করে যেতে পারেননি।

চিত্রকর্মটি নিয়ে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হলো মোনালিসার হাসি। এতে লিওনার্দো এমনভাবে রঙের ব্যবহার করেছেন, যাতে করে ছবির নারীর হাসিতে এক ধরনের রহস্যময়তা ফুটে উঠেছে। সাধারণভাবে তাকালে যেখানে মনে হয় চিত্রকর্মের নারীটি হাসছেন, আবার হাসির দিকে একনজরে তাকিয়ে থাকলে সেই হাসি যেন ক্রমেই মিলিয়ে যায়।

রঙের আঁচড়ে দৃষ্টির এই বিভ্রম তৈরি ছাড়াও মোনালিসার ছবি এমনভাবে আঁকা হয়েছে যে চিত্রকর্মটির যেদিকেই দাঁড়ানো হোক না কেন, মনে হয় ছবিটির চোখ সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে।

এর আগেও এই পদ্ধতিতে একাধিক ছবি আঁকা হলেও মোনালিসার জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে এই পদ্ধতির নামই হয়ে গেছে ‘মোনালিসা ইফেক্ট’।

এছাড়াও ল্যুভর মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ছবিটিতে লিওনার্দো ব্যবহার করেছেন স্ফুমাটো কৌশল, যার ব্যবহার সেই সময় খুব বেশি প্রচলিত ছিল না।

এর মাধ্যমে সেই সময় সাধারণত শিল্পীদের লাইন টেনে ছবি আঁকার যে কৌশল ব্যবহার করতেন তা থেকে বেরিয়ে আসেন লিওনার্দো।

বরং ছবির কিনারায় স্পষ্ট বিভাজন না করে রঙের মিশ্রণে চোখের কোন এবং মুখের উপর ছায়া ফেলেন তিনি। আর এই কৌশলের কারণেই মোনালিসার অভিব্যক্তি আরও বেশি রহস্যময় হয়ে উঠেছে।

কোনও ধরনের লাইন না টেনেই আলো-ছায়ার বিভ্রম তৈরি করতে লিওনার্দো এমনভাবে ছবিটি এঁকেছেন, যার কারণে কাছের বিষয়গুলো স্পষ্ট এবং দূরের বিষয়গুলো ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হয়ে গেছে।

সেই সময় শিল্পীরা আঁকার জন্য ক্যানভাসের ব্যবহার করলেও ৩০/২১ ইঞ্চির এই ছবিটি লিওনার্দো এঁকেছিলেন কাঠের উপর।

পপলার কাঠের প্যানেলে ছবিটি আঁকার দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার ফলে এর কিছু অংশে ফাটল ধরেছে।

যে কারণে মোনালিসার ছবি এত বিখ্যাত

মোনালিসার ছবির শিল্পগুণ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই। তবে কেবল এর আঁকার উৎকর্ষতার কারণেই মোনালিসার ছবি আকাশচুম্বী খ্যাতি পায়নি।

বরং এর জনপ্রিয়তার পিছনে ছবিটির সঙ্গে জড়িয়ে থাকা রহস্য ছাড়াও আছে ফ্রান্সের বিপ্লব, রেনেসাঁ পরবর্তী যুগে লিওনার্দোর পরিচিতি কিংবা মোনালিসার ছবি চুরি যাওয়ার মতো ঘটনা।

ল্যুভর জাদুঘরের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, মোনালিসার রহস্যময় হাসি শতাব্দী ধরে দর্শকদের মুগ্ধ করছে। তাদের মধ্যে প্রথম ছিলেন রাজা ফ্রান্সিস প্রথম।

তিনি ১৫১৮ সালে মোনালিসার ছবিটি কিনে নেন। আর এর মাধ্যমে জগদ্বিখ্যাত ছবিটি ফরাসি রাজকীয় সংগ্রহে আসে এবং ফরাসি বিপ্লবের পর থেকে ল্যুভরে প্রদর্শন করা হচ্ছে।

আমেরিকা-কানাডা ভিত্তিক মিডিয়া অর্গানাইজেশন টেড-এড’র একটি ভিডিওতে বলা হয়েছে, লিওনার্দোসহ ইতালির রেনেসাঁ যুগের একাধিক শিল্পীকে নিয়ে পরবর্তী সময়ে জর্জিও ভাসারির লেখা বই বেশ জনপ্রিয়তা পায় এবং একাধিক ভাষায় অনূদিত হয়। বইটিতে ‘মোনালিসা’ নিয়ে অত্যুৎসাহী বর্ণনা দেয়া হয়।

ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস প্রথম
ফ্রান্সের রাজা ফ্রান্সিস প্রথম লিওনার্দোর কাছ থেকে মোনালিসার ছবিটি কিনে নেন
পরবর্তী বছরগুলোতে ফ্রান্সের রাজকীয় সংগ্রহের অন্যতম একটি হয়ে দাঁড়ায় মোনালিসা। এটি কিছুদিন নেপোলিয়নের শোবার ঘরের দেয়ালেও ঝুলানো ছিল। পরে জনসাধারণের সামনে প্রদর্শনের জন্য এটি ল্যুভর জাদুঘরে রাখা হয়।

১৮শ’ সালের দিকে আলফ্রেড ডুমেন্সিল, থিওফিল গতিয়ার ও ওয়াল্টার পেটারের মতো একাধিক ইউরোপিয়ান স্কলার মোনালিসা চিত্রকর্মটি নিয়ে বেশ আগ্রহ দেখান।

এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে, ‘জিনিয়াস’ বা ‘প্রতিভাধর’ হিসেবে ১৯ শতকে লিওনার্দোকে নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে যায়। বিশেষ করে সময়ের তুলনায় তার এগিয়ে থাকা চিন্তা এবং ১৯ শতকে এসে রেনেসাঁর প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়ায় কেবল একজন চিত্রশিল্পী হিসেবেই নয়, বরং একজন মহান বিজ্ঞানী এবং উদ্ভাবক হিসেবেও তিনি পরিচিতি পান।

তবে পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান ও স্থাপত্যে তার অবদানের জায়গা সংক্ষিপ্ত হিসেবে দেখা হলেও তাকে ঘিরে গড়ে ওঠা মিথ একুশ শতকেও সমানভাবে প্রচলিত ছিল, যা মোনালিসার খ্যাতিতেও বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

মোনালিসা
মোনালিসার ছবি দেখতে মানুষ ভিড় করেন প্যারিসের ল্যুভর জাদুঘরে
ল্যুভর থেকে খোয়া যায় মোনালিসা

ছবিটি ঘিরে লেখকদের আগ্রহের মধ্যেই ১৯১১ সালের আগস্টে ল্যুভর জাদুঘর থেকে মোনালিসার চুরি যাওয়ায় ঘটনা একে বিশ্বব্যাপী আগ্রহের কেন্দ্রে নিয়ে আসে।

এই ঘটনার পর মানুষের আগ্রহ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে মোনালিসার ছবি ঝুলানোর খালি জায়গা দেখতেও সাধারণ মানুষ সেখানে ভিড় করতো।

এমনকি মোনালিসার ছবি চুরি যাওয়ার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে বিখ্যাত চিত্রশিল্পী পাবলো পিকাসোকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

অবশেষে দুই বছর পর ইতালি থেকে ছবিটি উদ্ধার করা হয়। ভিনসেঞ্জো পেরুজ্জিয়া নামের একজন ইতালীয় নাগরিক ফ্রান্সের ল্যুভরে কাজ করতেন। মোনালিসাকে নিজ দেশের সম্পদ মনে করতেন তিনি। তাই নিজেদের সম্পদ দেশে ফিরিয়ে নিতে তিনি ছবিটি চুরি করেন বলে জানান।

কিন্তু চুরির দুই বছরেও কোথাও এটি বিক্রি করতে না পারায় ইতালির একজন আর্ট ডিলারের সাথে যোগাযোগ করলে ওই ব্যবসায়ী পুলিশকে এ বিষয়ে জানিয়ে দেন। পরে ইতালি থেকে ছবিটি ফ্রান্সে ফেরত আনা হয়।

পরবর্তী সময়ে ১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং ১৯৭৪ সালে মোনালিসার জাপান সফর একে ‘সেলিব্রেটি’ তকমা এনে দেয়।

ছবিটি ১৯৬৬ সাল থেকে প্রদর্শনের জন্য ল্যুভর জাদুঘরের আলাদা একটি কক্ষ বরাদ্দ করা হয়।

তবে একাধিকবার অ্যাক্টিভিস্টদের আক্রমণের মুখে পড়ার পর ২০০৫ সাল থেকে ছবিটি বুলেটপ্রুফ কাঁচের মধ্যে রাখা হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বলা যায়, কোনও একটি নির্দিষ্ট ঘটনা মোনালিসাকে এই খ্যাতি এনে দেয়নি। বরং বিভিন্ন সময়ের ঘটনা পরম্পরা এবং এটি ঘিরে মানুষের বাড়তে থাকা আগ্রহই চিত্রকর্মটির খ্যাতি এমন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

সূত্র: বিবিসি
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর


এই বিভাগের আরো খবর