রাজধানীর শাহবাগে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে অটোপ্রমোশনের দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারী ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ডিগ্রি বৈষম্যনিরসন ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাতে এ তথ্য জানান ডিগ্রি বৈষম্য নিরসন ছাত্র আন্দোলনের বরিশাল বিভাগীয় সমন্বয়ক এবং বরগুনার আমতলি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম।
এদিকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করছেন অটোপ্রমোশনের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
সাইফুল বলেন, ‘পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা রাজধানীর শাহবাগে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। দুপুরের দিকে রাস্তা ব্লক করলে পুলিশের সঙ্গে আমাদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আমরা সেখানেই সবাই বসে পড়ি। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যস্থতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের শিক্ষার্থীদের ৫ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের সাথে সচিবালয়ে বৈঠকের আশ্বাসে আমরা শাহবাগের রাস্তা অবরোধ তুলে নিয়েছি।
সচিবালয়ে আলোচনা না হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই আমরা সাড়ে সাতটায় শাহবাগ মোড় ব্লক করে দিই। এই অটোপ্রমোশনের জন্য অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। আমরা চাই, অবিলম্বে যেন আমাদের অটোপ্রমোশন দেওয়া হয়। অন্যথায় দাবি পূরণে আমাদের লাগাতার কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মিম ও রিমেল নামে দুই শিক্ষার্থী আহত হন বলে আন্দেলনকারীরা জানান। অন্যদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পাল্টা চড়াও হওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শাহাবুদ্দিন শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শাহবাগ মোড় আটকে দিয়ে তারা একেবারেই বাজে অবস্থা তৈরি করেছিল। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাস্তা ব্লক করে পুরো রাস্তার লাখ-লাখ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করেছিল। পরে রাত আটটায় রাস্তা ক্লিয়ারের জন্য আমরা তাদের সরিয়ে দিই। কাউকে কোনো আঘাত করা হয়নি, আমি নিজেই পায়েই ব্যথা পেয়েছি।’
শিক্ষার্থীদের একদফা দাবি, ডিগ্রি কোর্স তিন বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও গত ছয়-সাত বছরেও পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ আজও শেষ হয়নি। সাত বছরের অযৌক্তিক ও অমানবিক সেশনজট চিরতরে বন্ধ করতে হলে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশন দিয়ে ফলাফল ঘোষণা করতে হবে। ২০২৪ সালের মধ্যে সার্টিফিকেট প্রদান এবং ২০২৫ সালের শুরুতেই মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।