শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, আর শিক্ষক হলো শিক্ষার্থীর মেরুদণ্ড। আজ ৫ অক্টোবর প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়। ১৯৯৫ সাল থেকে দিবসটি পালিন হয়ে আসছে।
বিশ্বের ১০০টি দেশ দিবসটি পালন করে থাকে। ইউনেস্কোর মতে বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষাকে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ পালন করা হয়। বিশ্ব শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য ও উদ্দেশ্য, অতীতে আমাদের সমাজ এবং রাস্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেনি। শিক্ষকদের মানসম্মত জীবনযাপন ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা নাহওয়ায়, শিক্ষা ও উন্নয়নে অনন্য ভুমিকা রাখতে পারছেন না। বেতন কাঠামো নিয়ে শিক্ষকদের যে বৈধ দায়ী , সেটা যেন রাস্ট্রের কারো নজরে পরছে না ।
অথচ শিক্ষকদের দাবী জানানো হয় তাদের কাছে, য়ারা শিক্ষিত প্রাক্তন স্টুডেন্ট,যারা শিক্ষিত হয়ে বড় বড় আসনে বসে আছেন। অথচ শিক্ষকদের দাবী অযৌক্তিক নয়। খুব লজ্জার কথা একজন শিক্ষকের বাসা ভাড়া একহাজার টাকা, চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা, যেদেশে ডঃ ভিজিট ১৫০০-২০০০ টাকা , বাসা ভাড়া ৫০০০-৫০,০০০টাকা , সেখানে শিক্ষকদের সাথে করা হচ্ছে অনৈতিক আচরণ। উৎসব ভাতা নামে মাত্র, সিকিআনা। পদোন্নতি তো কানোদিন চিন্তাই করেন না। সকাল থেকে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে অন্যের জমি আবাদ করে দেয়, নিজের ঘরে খাবার থাকেনা। সারাক্ষণ মনের ভিতর হাহাকার কাজ করে। বর্তমান বাজার দর, সন্তানদের পড়াশোনা, একটা মাস চলতে হবে , সারাদিন বুকের ভিতর হাহাকার থাকে শিক্ষকদের । দাবী আদায় করতে গিয়েও প্রতিবন্ধকতা স্বীকার হয়ে থাকেন শিক্ষকরা ।
লজ্জা এবং দুঃখের বিষয় পুলিশ শিক্ষকদের উপর লাঠিচার্জ করে । সমাজের সবচেয়ে সম্মানী পেশা শিক্ষকতা। কেউ কি কখনো ভেবেছেন কতটুকু ভালো আছেন এই শিক্ষকগণ। পত্রিকা গুলো লিখতে লিখতে হয়রান ক্লান্ত তবু্ও এবিষয়ে কারো কোনো ভ্রুক্ষেপ নাই । অবসরে গিয়েও ভোগান্তির স্বীকার, নানা রকম হয়রানি কাগজ পত্রের , একজন শিক্ষক এত দিন চাকুরী করলেন, বেতন ভোগ করলেন, তাহলে অবসরে এত ডকুমেন্টস লাগবে ক্যান, চাকরি জীবনে কি বৈধ ছিলোনা।
নানা অজুহাতে ঘুরতে ঘুরতে, একসময় অবসর ভাতা পাওয়ার আগেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান। তাই সকল বৈষম্য দুর করে শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান দিয়ে তাদের জীবনের মান উন্নয়ন করে শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব রাস্ট্রের।