শেরপুর সরকারি কলেজে ‘তারুণ্য মেলা উৎসব ২০২৫’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী তারুণ্যের মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২শে জানুয়ারি আজ (বুধবার ) সকালে শেরপুর সরকারি কলেজের আয়োজনে কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের উৎসব মেলার উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রউফ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যবৃন্দসহ কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। মেলায় বিভিন্ন সৃজনশীল স্টল বসানো হয়েছে, যেখানে অংশ নিয়েছে কলেজের ডিবেটিং সোসাইটি, পরিবেশবাদী সংগঠন, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। স্টলগুলোতে উপস্থাপিত হয়েছে– হরেক রকমের বইয়ের সমাহার, পিঠার বাহার, শেরপুরের অর্থকরী ফসলের প্রদর্শনী, অঞ্চলভিত্তিক ফসলের মানচিত্র, কুটির শিল্পের দৃষ্টিনন্দন প্রদর্শনী, বিতর্ক প্রয়োজনীয়তা ও মুক্ত চিন্তার মডেল।
পিঠাপুলি খাওয়ার চল আর মেলা গ্রামবাংলার অস্থি মজ্জায় মিশে আছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- ‘’প্রতিদিন মানুষ ক্ষুদ্র দীন একাকী। কিন্তু উৎসবের দিন মানুষ বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মানুষের সঙ্গে একত্র হইয়া বৃহৎ, সেদিন সে সমস্ত মনুষ্যত্বের শক্তি অনুভব করিয়া মহৎ’’। তারই প্রতিফলন দেখা গেছে এই মেলায়। মেলায় দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীদের ঢল নামে এবং তারা সকলেই শীতের পিঠার অসাধারণ স্বাদসহ রসনা তৃপ্ত করেন।
এই উৎসব মেলা তারুণ্যের শক্তি ও সৃজনশীলতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশে শেরপুর সরকারি কলেজের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে বলে মনে করছেন দর্শনার্থীরা।
শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রউফ বলেন, ‘তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে তারুণ্য মেলা। এই মেলায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন উদ্যোক্তারা আমাদেরই বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের তরুণ শিক্ষার্থী। তারা নিজেরা নিজেদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সর্বশ্রেষ্ঠ অবদান রেখেছে। তারা নিজেরা চাকরি করতে চাচ্ছে না, তারা মেসেজ দিতে চাচ্ছে নিজেরা বিভিন্ন ভাবে উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করবে, নিজেদের স্বাবলম্বী করবে এবং এর মাধ্যমে দেশ বদলাবে, জাতি বদলাবে। এই তারুণ্য উদ্দীপনা আমাদের জাতিকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।