পুর্নিমা রানী, পূর্বধলা থেকে : জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মন্ডল বলেন, এখন আমার বয়স হয়েছে প্রায় ৯৫ বছর কতদিন বাঁচবো জানি না। আমার নামে এই বিদ্যালয়টি করার জন্য ৩৩ শতক জমি প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নামে দান করেছি। যা আমাকে বারবার বাঁচিয়ে রাখবে। আর নামের ভুল সংশোধন করার জন্য অনেক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কথা হচ্ছে মরার আগে শেষ পর্যন্ত সংশোধিত নামটি দেখে যেতে পারবো তো? বিদ্যালয়ের নামটি সঠিক করার জন্য সবার সহযোগীতা আশা করছি।
সারা দেশের ন্যায় বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় ১৫০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার বাড়হা উত্তরপাড়া জোবেদা ইউনুস মন্ডল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে ছিল। যা পরবর্তীতে পদ সৃজনের সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বাড়হা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে আসায় মূল নামটি বাদ পড়ে যায়। এখনো স্কুলের মূল ফটকে আসল নামটি রয়েছে। দাফতরিকভাবে নাম পরিবর্তন করে সঠিক করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এর মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পরও নামটি সংশোধন হয়নি। পরবর্তী সময়ে গত বছরের অক্টোবর মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগ এর সম্মতির প্রেক্ষিতে নাম সৃজন করা হয়েছে সেই নাম সংশোধন করার সুযোগ নেই। তবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে নাম সংশোধন করা যেতে পারে।
এ বিষয়ে নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, ২০১৭ সালের মে মাসে অফিস আদেশ মূলে রাজস্ব খাতে এ বিদ্যালয়টি সৃজন হয়। জমিদাতা ও ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুছ আলী মন্ডলের আবেদনের প্রেক্ষিতে নাম সংশোধনের জন্য প্রস্তাব আকারে মন্ত্রণালয়ে পাঠাই। এর প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের সম্মতির প্রেক্ষিতে যে নামে পদ সৃজন করা হয়েছে তা সংশোধনের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তারা। তবে উপজেলা ও জেলা নাম যাচাই-বাছাই কমিটির সুপারিশ ক্রমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর পুনরায় সংশোধন আকারে প্রস্তব পাঠানো হবে।
দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।