নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, “বাংলাদেশের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে—এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে নির্বাচনী পথসভা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গিয়াসউদ্দিন বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবিরাম আন্দোলন করে এসেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে অবশেষে ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করেছি।

তিনি আরও বলেন, “এই বিজয়ের পরও কিছু স্বার্থবাদী মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা বিভিন্ন দাবি-দাওয়া ও আন্দোলনের নামে দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করার অপচেষ্টা করছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখে দেশের মানুষের কল্যাণে ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।

বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। হাসিনার ধ্বংস করে যাওয়া দেশকে পুনর্গঠনে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামত কর্মসূচি বাস্তবায়নে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাসিক ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ তৈয়ব হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ মাসুদ করিম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম জুয়েল, সোনারগাঁ থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, সহ-সভাপতি জি এম সাদরিল, সেলিম মাহমুদ, ডি এইচ বাবুল, রওশন আলী, অ্যাড. মাসুদুজ্জামান মন্টু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুকুল, আশরাফ হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি কাজী জহির, কাজী শাকিল, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এ. কে. হীরা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন রনি ও ফেরদৌসসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

গিয়াসউদ্দিন শেষ বক্তব্যে বলেন, “জনগণের অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের ইতিবাচক ভূমিকা কামনা করি।