পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সনাতন ধর্মালম্বী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের গুলিআউলিয়াপুর গ্রামে হরে কৃষ্ণ ভক্ত ও হরিবোল মাতুয়া ভক্ত দলের মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামে হরে কৃষ্ণ ভক্তদের একটি মন্দির স্থাপনা বিদ্যমান ছিলো, কিন্ত উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ঐ মন্দিরের পাশে হরিবল মাতুয়া ধর্মাবলম্বী ভক্তরা একটি মন্দির স্থাপন করেন। এতে করে হরে কৃষ্ণ ভক্তরা তা মানতে পারেনি। বিভিন্ন সময় হরিবল মতুয়া ভক্তদের মন্দিরটি হরে কৃষ্ণ ভক্তরা উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় দীর্ঘ ছয় মাস হরে কৃষ্ণ ও হরিবল সম্প্রদায়ের মধ্যে মন্দিরের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলমান। এ ঘটনায় জেলা জজ আদালতে মামালা চলমান আছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা হরিবল মতুয়া ভক্তরা তাদের মন্দিরে প্রার্থনায় করার সময় হরে কৃষ্ণ ভক্তরা আসলে উভয়ে পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে মন্দির ভাংচুর করা হয়। এসময় ৬-৭ জন শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন । পরে প্রতিমা ভাংচুর করে খালে ভাসিয়ে দেয় হামলাকারীরা । আহতদের সন্ধ্যা ৭ টায় দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
হরিবল মাতুয়া সম্প্রদায়ের সভাপতি ভাস্কর চন্দ্র গণমাধ্যমকে জানান, হরে কৃষ্ণ মন্দিরের পাশে মাতুয়া সম্প্রদায়ের একটি মন্দির স্থাপন করেন। প্রাথমিকভাবে হরে কৃষ্ণ ভক্তরা মেনে নিলেও পরে তারা এই মন্দির উচ্ছেদের চেষ্টা করে। মন্দির রক্ষায় জেলা জজ আদালতে মামালা চলমান। শনিবার সন্ধ্যায় হরিবল মাতুয়া ভক্তরা প্রার্থনা চলাকালীন হরেকৃষ্ণ ভক্তের গবিনন্দর নেতৃত্বে আক্রমন করে। এতে ৬-৭ জন আহত হন। আহতারা দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
হরেকৃষ্ণ ভক্ত মন্দিরের সভপতি শৈলেন চন্দ্র হাওলদার জানান, দুটি মন্দিরের জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। শনিনার সন্ধ্যায় হাতাহাতি হয়েছে। কোন মারধরের ঘটনা ঘটেনি। আমাদের হয়রনি করার জন্য সজানো নাটক তৈরি করছে হরিবল মাতুয়া সম্প্রদায়। আমাদের একজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি আছে।
মতুয়া সম্প্যরদায়ের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পদক ডাঃ সঞ্জায় কুমার দাস জানান, হরিবল মতুয়া সম্প্যরদায়ের দশমিনা উপজেলা সভপতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছি। যথাযথা ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রতিমা ভংচুরের সাহস হয় কি করে ? হরিবল প্রতিমা ভংচুরের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন না করলে আমরা কঠোর থেকে কঠোর হতে বাধ্য হব।
দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আবদুল আলীম জানান, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।