অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির পর টেল-এন্ডারদের দৃঢ়তায় এশিয়া কাপ সুপার ফোর পর্বের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান করেছে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডারে সাকিব ৮০ ও হৃদয় ৫৪ রান করেন। ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে নাসুম আহমেদ ৪৪, মাহেদি হাসান অপরাজিত ২৯ ও অভিষিক্ত তানজিম হাসান অপরাজিত ১৪ রান করেন।
কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ নিয়ম রক্ষার ম্যাচে টস ভারতের বিপক্ষে হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। পাঁচটি পরিবর্তন নিয়ে সাজানো একাদশে দলের হয়ে ইনিংস শুরু করেন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে অভিষেক হওয়া তানজিদ হাসান ও লিটন দাস।
প্রথম দুই ওভারে ৩টি চার মেরে ইনিংসের যাত্রা করেন তানজিদ। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে পেসার মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হন ওপেনিংয়ে ফেরা লিটন। ২ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
পরের ওভারের প্রথম বলে শারদুলের বলে ইনসাইড এজ বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অভিষেক ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের মালিক তানজিদ। ১২ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি এনামুল হক। শারদুলের বলে পুল করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ১১ রানে ৪ রান করা এনামুর হক বিজয় ক্যাচ দিলে দলীয় ২৮ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
পাঁচ নম্বরে নামেন আগের তিন ম্যাচে ওপেনার হিসেবে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ। শারদুলের করা দশম ওভারে দু’বার জীবন পান তিনি। জীবন পেয়েও প্যাটেলের শিকার হয়ে ২৮ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
দলীয় ৫৯ রানে মিরাজের বিদায়ের পর বড় জুটির চেষ্টা করেন অধিনায়ক সাকিব ও তাওহিদ হৃদয়। উইকেটে সেট হতে সাবধানে খেলতে থাকেন তারা। ২৪তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১শ স্পর্শ করে । ২৬তম ওভারে প্যাটেলের চতুর্থ ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে ওয়ানডেতে ৫৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৬৫ বল খেলা সাকিব।
হাফ-সেঞ্চুরির পরও বেশ ভালই খেলছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক । কিন্তু ৩৪তম ওভারে শারদুলের বলে ইনসাইড এডজ হয়ে বোল্ড হন ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৮৫ বলে ৮০ রান করা সাকিব। পঞ্চম উইকেটে হৃদয়ের সাথে ১১৫ বলে ১০১ রানের জুটি গড়েন ২৮ রানে উইকেটরক্ষক লোকেশ রাহুলের হাতে জীবন পাওয়া সাকিব।
সাকিব ফেরার পরের ওভারে জাদেজার বলে লেগ বিফোর আউট হন সাত নম্বরে নামা শামীম হোসেন(১)। এতে দলীয় ১৬১ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
সপ্তম উইকেটে নাসুমের সাথে ৩২ রানের জুটি গড়ার পথে ওয়ানডেতে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন হৃদয়। অর্ধশতকের পর সামির বলে পুল করে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৮১ বলে ৫৪ রান করা হৃদয়।
হৃদয় ফেরার পর বাংলাদেশকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে গেছেন তিন টেল এন্ডার নাসুম, মাহেদি ও তানজিম। অষ্টম উইকেটে মাহেদি-নাসুম ৩৬ বলে ৪৫ এবং নবম উইকেটে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৭ রান তুলেন মাহেদি-তানজিম। এতে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
৬টি চার ও ১টি ছক্কায় নাসুম ৪৫ বলে ৪৪, ৩টি চারে ২৩ বলে মাহেদি অপরাজিত ২৯ এবং ১টি করে চার-ছক্কায় ৮ বলে অপরাজিত ১৪ রান করেন তানজিম। ভারতের শারদুল ৩টি ও সামি ২টি উইকেট নেন।