কোম্পানীগঞ্জের যানজটের চিত্র পাল্টে দিয়েছেন মুরাদনগরের সাবেক এমপি কাজী শাহ্ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। টানা ১৬ বছর এ সড়কে ছিল চরম দুর্ভোগ । মাত্র ১৬ দিনে দৃশ্যপট পরিবর্তন ঘটিয়েছে কায়কোবাদ। কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়কের যানজট আর নেই।
৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর কোম্পানীগঞ্জ টার্মিনালের জিপি সিন্ডিকেট বাহিনী সটকে পড়ে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী কায়কোবাদ। বিদেশে বসেই কাজের পরিকল্পনার একটি ছক করেন। বাস্তবায়নে কাজ করেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইদ্রিস, নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নে বিএনপি সভাপতি রুহুল আমিন (তুহিন) , শ্রমিক দলের নেতা মো. জাকির হোসেনসহ আরো অনেকে।
তারা কায়কোবাদের পাঠানো ছক অনুযায়ী সড়কে ডিভাইডার তৈরি করেন এবং সকাল ৮টা থেকে রাত ৮ পর্যন্ত ১৭ জন কর্মীকে যানজট নিরসনের কাজে নিয়োজিত করেন। এতে দূর হয়েছে কোম্পানীগঞ্জের ১৬ বছরের জনদূর্ভোগ। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।
যাত্রী আল মেহেদী বলেন, ১৬ বছর একটি দলের সিন্ডিকেটের কারণে এ সড়কের দূর্ভোগ ছিল চরমে। কৃত্রিম যানজট ছিল পুরো কোম্পানীগঞ্জে। বর্তমানে যানজট নেই। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে।
তিশা গোল্ডেন ঢাকাগামী যাত্রী এহসান জুবায়ের বলেন, গত আগস্ট আগ পর্যন্ত শুধু কোম্পানীগঞ্জ থেকে বের হয়ে পান্নারপুল পৌঁছাতে এক ঘণ্টা সময় লাগতো! এখন এমনটা হয় না। কুমিল্লাগামী নাহার নামে এক যাত্রী উচ্ছ্বাস নিয়ে বলেন আধা ঘণ্টা কম সময়েই গাড়ি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট পৌঁছে যায় এটা আগে কল্পনা করা সম্ভব ছিল না।
মাইনউদ্দীন, রুহুল আমিন ও রাসেল মিয়া জানান,আওয়ামীলীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে কোম্পানীগঞ্জ সড়কে কোন যানজট নেই। এর আগে চাঁদাবাজিতে মগ্ন ছিলো নেতারা। এখন দাদা কায়কোবাদের কারণে জিপি নামক চাঁদাবাজি ও যানজটমুক্ত কোম্পানীগঞ্জ।
মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাজী ইদ্রিস জানান, মুরাদনগরের প্রাণপুরুষ মজলুম জননেতা সাবেক এমপি আলহাজ্ব কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ দাদার দিকনির্দেশনা মোতাবেক সড়কের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করছি। এর আগে সড়কে চাঁদাবাজি হতো। আমরা চাঁদাবাজ ও যানজট কোম্পানীগঞ্জ গড়েছি। দাদার নির্দেশে সড়কের কোন গাড়ী থেকে জিপি নেওয়া হয়না। জণভোগান্তি দূর হয়েছে।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিফাত উদ্দিন বলেন, কোম্পানীগঞ্জের যানজট নিরসনে বর্তমানে যারা কাজ করছেন তাঁরা সফল। এর আগে মোবাইলকোর্ট পরিচালনাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে তা দূর করা সম্ভব হয়নি। যানজট নিরসনে চলমান উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। আসলে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে সবই সম্ভব। এর বাস্তব উদাহরণ কোম্পানীগঞ্জের দৃশ্যপট।