জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী-সন্তানসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্বামী–সন্তানের ব্যাংকের সব ধরনের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্টের সব ধরনের তথ্য দিতে করা হয়েছে।
বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লেনদেন তলব করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। বিএফআইইউর চিঠিতে শিরীন শারমিন চৌধুরী, তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইন, তাদের পুত্র সৈয়দ এবতেশাম রফিক ও মেয়ে লামিসা শিরীন হোসাইন এবং মো. শফিউল ইসলামের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, হিসাব তলব করা ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদের স্পিকার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শিরীন শারমিন চৌধুরী। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী রংপুরের একটি আসন থেকে সর্বশেষবার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর স্পিকার নির্বাচিত হন আবদুল হামিদ। তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করা হলে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল স্পিকার নির্বাচিত হন শিরীন শারমিন। এরপর থেকে টানা তিনি এই দায়িত্বে ছিলেন। ছাত্র-জনতার অবিস্মরণীয় অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।