বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা ন্যায্য মূল্যে নিত্য পণ্য সরবরাহ করছে। এ উপলক্ষে সকাল ১০ টা থেকে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল বাস স্ট্যান্ড চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা এই কার্যক্রম শুরু করেন। এখানে ক্রয় মূল্যে বিক্রি হচ্ছে সকল ধরনের শাকসবজি।
এদিকে নায্যমূল্যে শাক সবজি কিনতে পেরে খুশি হয়েছেন বিভিন্ন পেশাশ্রেণির মানুষ। উপজেলার পৌর এলাকার বাস স্ট্যান্ড চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ন্যায্য মূল্যের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিটি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, জলপাই ৩৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪৫ টাকা, পেঁয়াজ ১৩৫ টাকা, কচুর লতি ৫৫ টাকা, কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও কচু প্রতি পিস ৫৫ টাকা, লাল শাক ৮ টাকা আটি, ডাটা শাক ১৫ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বাজারে শাকসবজি সহ নিত্য পণ্যের যে উর্ধ্বগতি তা কমিয়ে আনতে পাইকারি আড়ৎ থেকে কেনা দাম সাধারণ মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করা শুরু হয়েছে। বাজারে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের যে সিন্ডিকেট আছে তা ভাঙতেই এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জজএবং বাঁজার মনিটরিং টিমের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান আওয়াল বলেন, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখানে ক্রয় মূল্যে শাকসবজি বিক্রয় করা হচ্ছে।
বৈষমবিরোধী আন্দোলনের সক্রিয় শিক্ষার্থী মো.সিয়াম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষকে কম দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ করতে। সিন্ডিকেট ভাঙতে আমরা অন্তত দুই দিন এ কার্যক্রম চলমান রাখব। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্যের ক্রেতারা জানান, শিক্ষার্থীরা যে দামে বিক্রি করছে তা বাজার থেকে কেজিতে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা কম মূল্যে বিভিন্ন পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। বাজার থেকে কম দামে পূর্ণ কিনতে পারায় অনেকেই ভিড় করছেন ন্যায্য মূল্যের দোকানে।
ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে বাজার করতে আসা ক্রেতা মো.আমিনুল ইসলাম(আমিন) জানান, বাজারে যে দাম তা আসলে হিসাব করতে গেলে এখন আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার ওপর একেক জায়গায় একেক রকমের দাম। মানুষ স্বল্পমূল্যে যেখানে পাবে, সেখান থেকেই বাজার করবে। প্রশাসনের উচিত বাজার মনিটরিং আরও শক্তভাবে করা। আর শিক্ষার্থীরা যে বাজার বসিয়েছে তা সাধারণ মানুষের খুবই কাজে আসবে।