বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
লালমোহনে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৩টি চোরাই গরু উদ্ধার দিনাজপুরের কাহারোলে বায়োলিডের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত নওগাঁর রাণীনগরে বোরো ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন কুড়িগ্রামে ফুটবল প্রশিক্ষণ-২০২৫ সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠিত পাইকগাছায় বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন নবীনগরে স্কুল শিক্ষার্থীরা উপহার পেল গাছের চারা  আনোয়ারায় এবার বোরো ধানের বেশি আবাদ, বেশি ফলন মুকসুদপুরে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক সেমিনার নান্দাইলে জামায়াতে ইসলাম সমর্থিত প্রার্থী এড. আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন শাহজাদপুরে বিএনপি নেতা শামীমের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চবির পঞ্চম সমাবর্তন কাল, সমাবর্তন বক্তা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ক্যাননের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফর রাজাপুরে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রী সবাই মিলে রাষ্ট্র কাঠামো পুনর্গঠন করা হবে : আলী রীয়াজ ঈদের আগে-পরে ৬ দিন চলবে না যেসব যানবাহন সরকার প্রধান হিসেবে প্রথমবার চট্টগ্রাম যাচ্ছেন ড. ইউনূস যেসব অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ ট্রাম্প সফরের আগে আমিরাতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বড় সামরিক চুক্তি আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত : ইসি টেসলার রোবোট্যাক্সি ট্রেডমার্ক বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র আরো কমল সোনার দাম ঢাবির কলা ভবন সংলগ্ন রাস্তা ও লিফট সংস্কারের কাজ পরিদর্শনে উপাচার্য ২০০ বছর ধরে ভোজনরসিকদের প্রিয় খাবার ‘পাতক্ষীর’ নলছিটিতে এখনো টিকে আছে ‘এক রাতে তৈরি পরীর মসজিদ’ পাবনায় চরমপন্থি নেতাকে কুপিয়ে গুলি করে হত্যা গুলি করে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি ২২ মে থেকে বাজারে আসছে নওগাঁর আম মাঠে গড়াচ্ছে আইপিএল, প্রস্তুত তিনটি নতুন সূচি রাধানীর ধানমন্ডি থেকে সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেফতার

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কাচারি ঘর

মনির হোসেন, নবীনগর
বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৯:০৮ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের গ্রামীণ জনপদে এক সময় অধিকাংশ স্বচ্ছল গৃহস্থের বাড়িতেই ছিল কাচারি ঘর । এ ঘর ছিল গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য , কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ । কালের বিবর্তনে আজ কাচারি ঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে । গেস্টরুম কিংবা ড্রয়িং রুমের আদি ভার্সন ছিল এ কাচারি ঘর । এখন আর গ্রামীণ জনপদে কাচারি ঘর দেখা যায় না । মূল বাড়ি থেকে একটু দূরে আলাদা খোলা মেলা জায়গায় কাচারি ঘরের অবস্থান ছিল । অতিথি , পথচারী কিংবা সাক্ষাৎ প্রার্থীরা এই ঘরে এসেই বসতেন ।

প্রয়োজনে এক-দুই রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা ও থাকত কাচারি ঘরে । কাচারি ঘর ছিল গ্রামের অবস্থা সম্পন্ন ও মধ্যবিত্তের গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক । এ ঘরের চার দিকে ঢেউ টিনের বেড়ার সঙ্গে কাঠের কারুকাজ করে উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি থাকত । এতে প্রাকৃতিক বান্ধব পরিবেশর আবহ ছিল । তখন বৈদ্যুতিক পাখা না থাকলেও কাচারি ঘড়ে ছিল আরামদায়ক শীতল পরিবেশ । তীব্র গরমেও কাচারি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে হিমেল বাতাস বইত। আলোচনা , শালিস বৈঠক , গল্প-আড্ডার আসর বসতো এ কাচারি ঘর গুলোতে । তখনকার দিনে নিজেদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মানুষজন বেশি হলে ছেলেরা কাচারি ঘরে থাকতেন। বর্ষা মৌসুমে গ্রামের লোকজনদের উপস্থিতিতে কাচারি ঘরে বসতো পুঁথি পাঠ ও জারি গানের আসর । অনেক সময় পথচারীরা কাচারি ঘরে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন এবং বিপদে পরলে রাত্রি যাপন ও করত এ ঘড়ে । গৃহস্থের বাড়ির ভিতর থেকে খাবার পাঠানো হত কাচারি ঘরের অতিথিদের জন্য ।

আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার) ও আররি শিক্ষার জন্য কাচারি ঘড়ের অবদান অনস্বীকার্য । মাস্টার ও আরবী শিক্ষকগণের কাচারি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হত । কোন কোন বাড়ির কাচারি ঘর সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হত । জানা যায় – জমিদারী প্রথার সময় খাজনা আদায় করা হত গ্রামের প্রভাবশালী গ্রাম্য মোড়লের কাচারি ঘরে বসে । এখন আর কাচারি ঘর তেমন চোখে পরে না । এখনো নবীনগরের রতনপুর, শ্যামগ্রাম, রছুল্লাবাদ, ইব্রহিমপুর শ্রীরামপুর (পুরাতন), বিটঘর, বিদ্যাকুটসহ ঐতিহ্যবাহি গ্রাম গুলোতে অত্যন্ত জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় এ ঘর দেখতে পাওয়া যায়।

 


এই বিভাগের আরো খবর