ক্রীড়া ডেস্ক : চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ না পারলেও রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে রোমাঞ্চকর জয় পেল পাকিস্তান। টেস্টের শেষ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ২৪৩ রান, হাতে উইকেট ছিল ৯টি। প্রোটিয়াদের ব্যাটিং দেখে চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনের মতোই মনে হচ্ছিল ক্রিকেট সমর্থকদের। কেননা সেদিন টাইগার বোলারদের নাকাল করে অসাধ্য সাধন করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চট্টগ্রামে শেষ দিনে ২৮৫ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের, হাতে ৭ উইকেট। তাতেই এমন জয়! প্রোটিয়ারা তো আরও ভালো অবস্থানে ছিল। তবে কি টেস্টের শেষ দিনে বাংলাদেশের পরিণতিই হবে পাকিস্তানেরও? চিত্রনাট্যে তো অনেকটাই মিল ছিল।
এমনকি পঞ্চম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং দেখেও এক সময় মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতে যাবে সফরকারিরা। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়াল পাকিস্তান। মাত্র ৩৩ রানে প্রোটিয়াদের শেষ ৭ উইকেট তুলে নিল তারা।
৩৭০ রান তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটেই ২৪১ রান তুলে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে হাসান আলির তোপে ২৭৪ রানেই গুটিয়ে গেছে কুইন্টন ডি ককের দল। পাকিস্তান পেয়েছে ৯৫ রানের জয়। সেইসঙ্গে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রোটিয়াদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জাও দিয়েছেন বাবর আজমরা।
৮১ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৪১ রান ছিল প্রোটিয়াদের। ৮২তম ওভারে টানা দুই ডেলিভারিতে দুই ব্যাটসম্যানকে ফেরান হাসান আলি। তার প্রথম শিকার সেট ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম (১০৮), পরের বলে তুলে নেন অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে (০)। তাতেই ম্যাচ ঘুরে যায় পাকিস্তানের দিকে।
কয়েক ওভার পর আরেক সেট ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমাকে সাজঘরের পথ দেখান শাহীন শাহ আফ্রিদি। এরপর আর উইকেটে বাঁধ দিতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জর্জ লিন্ডে (২১), কেশভ মহারাজ (১), অ্যানরিচ নর্টজেরা (০) দাঁড়াতেই পারেননি হাসান আলির তোপের সামনে। মাঝে শূন্য রানে রানআউট হন কাগিসো রাবাদা। দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ২৭৪ রানে।
দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও হাতে উঠেছে হাসান আলির। ৬০ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৫১ রানে ৪ উইকেট আরেক পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদির।
দেশ–বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ সব সংবাদ পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন।