বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নাজিরপুরে শ্রমিকদলের আহবায়ক কে অবাঞ্ছিত ঘোষণা ও কমিটি বাতিল চেয়ে সংবাদ সম্মেলন বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত ১৪ জন আটক বাংলাদেশে নয়, ভারতেই শান্তিরক্ষী মোতায়েন প্রয়োজন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গণহারে গ্রেপ্তার করা যাবে না : আইজিপি আত্রাইয়ে গ্রাম পুলিশের সাথে মতবিনিময় পাইকগাছায় সকল দপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল প্রশ্নে চূড়ান্ত রায় ১৭ ডিসেম্বর গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইল দায়ী : অ্যামনেস্টি প্রথম টি-টোয়েন্টি, টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে আগুনে পোড়ালেন রিজভী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা বিকালে বঙ্গভবনে যাচ্ছেন ২৩ বিচারপতি ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ বিকালে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, পণ্যের দাম যাচ্ছে নাগালের বাইরে ভারতের সঙ্গে গত ১৫ বছরের সব চুক্তি বাতিল করা উচিত : আসিফ নজরুল ৩ সপ্তাহের জন্য কারামুক্ত নোবেলজয়ী নার্গিস মোহাম্মদি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় আমরা সজাগ আছি, ঐক্যবদ্ধ আছি : প্রধান উপদেষ্টা অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এবারের নির্বাচন যেকোন সময়ের তুলনায় অনেক কঠিন হবে : তারেক রহমান পদত্যাগে বাধ্য হলেন ইন্টেলের সিইও গেলসিঞ্জার পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে বস্ত্র উপদেষ্টার আহ্বান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রজাপতি মেলা শুক্রবার অটোরিকশা উল্টে পুলিশ সদস্য নিহত যুব মহিলা লীগের নেত্রী যুথী গ্রেফতার তেতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ১২ ডিগ্রিতে অভিনব কৌশলে গাঁজা পাচার, আটক ১ আদালতের বিচার কার্যক্রম মোবাইলে ধারণ করতে গিয়ে আটক ইয়ামাল ফিরতেই ফের দুর্দান্ত ছন্দে বার্সা ভারতীয় দূতাবাসের সামনে নিরাপত্তা জোরদার

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে : নুর

নেত্রকোণা প্রতিনিধি
শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪, ৮:২৮ অপরাহ্ন

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন , ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আওয়ামী লীগ এখন মরা লাশ। এই মরা লাশ নিয়ে টানাটানি করে কোনো লাভ নাই।

আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোণার ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনের সভাপতিত্বে তারুণ্যের সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

নুরুল হক নুর বলেন, আপনারা জানেন, গণধিকার পরিষদ বাংলাদেশে গত সরকারের আমলে ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আজকের এ জায়গায় এসেছে। ২০১৮ সালে আপনাদের নেত্রকোণার কৃতি সন্তান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হাসান আল মামুনের নেতৃত্বে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু করি। যে আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে আজকের এই ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এখন আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। গণধিকার পরিষদ সেই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এদেশের আপামর জনসাধারণকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। জনগণের ক্ষমতায়ন করতে চায়। নেত্রকোণার সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষার্থীদের বৈষম্য দূরীকরণে নেতৃত্ব দিয়েছে আন্দোলন করে। আন্দোলন করে সফল হয়েছে। আগামীতে জাতির বৈষম্য দূরীকরণে নেত্রকোণা-২ আসন থেকে হাসান আল মামুনকে নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটে জয়লাভ করিয়ে সংসদে নিয়ে অবহেলিত এই অঞ্চল তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।

তিনি বলেন, এই গণতান্ত্রিক লড়াই সংগ্রামে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের রক্ত দিতে হয়েছে। সংগ্রাম করতে হয়েছে, জীবন দিতে হয়েছে। শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা কেউ করবেন না। যারা এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং তার দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নুরুল হক নুর বলেন, আমাদের রাজনৈতিক মতের ভিন্নতা আছে, পার্থক্য আছে। দেশ এবং জাতির প্রশ্নে আমাদের এক ও অভিন্ন অবস্থান নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে। বিএনপি, জামায়াত, গণধিকার পরিষদসহ ৪২টি দল আমরা আন্দোলন করেছিলাম। আমি মনে করি এই ৪২টি দল ছাড়াও এ আন্দোলনে আমাদের তরুণরা নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই তরুণদের যে অবদান, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের যে অবদান দেশের প্রশ্নে সকলকে আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নাজেহাল করার জন্য, অস্থিতিশীল করার জন্য স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লি বসে প্রায় প্রায় ফোন আলাপ ফাঁসের নাটক করেন। কিন্তু পরিষ্কারভাবে আমি আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদেরকে বলে দিতে চাই। আপনাদের গত পাঁচ বছর বলছিলাম, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা, জুলুম, অত্যাচার করবেন না। এমন দিন আসবে আফগানিস্তানের মত আপনাদের নেতা-নেত্রীরা প্লেনের চাকা ধরে পালাবেন, আপনাদেরকে কিন্তু দেশে থাকতে হবে। ঠিকই আপনাদের নেত্রী জুতা পড়ার টাইম পায় নাই। প্লেনে করে পালাইছে আপনাদেরকে এতিম করে দিয়ে। আপনারা জনগণের কাছে ক্ষমা চান অনুশোচনা থেকে। জনগণের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার করেন। আওয়ামী লীগ ছেড়ে দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হন। আওয়ামী লীগের নাম যদি মুখে আনেন বাংলার মানুষ কিন্তু আস্ত রাখবে না। রাজপথে শহীদের রক্ত এখনো শুকায় নাই। আহত ও নিহত পরিবারের আহাজারি এখনো থামে নাই। কাজেই যদি আস্ফালন দেখাতে চান তার পরিণতি ভালো হবে না।

নুরুল হক নুর, আমরা গ্রাম কিংবা শহর কোথাও হানাহানি-মারামারি চাই না। শেখ হাসিনার পতন হয়েছে, সবাইকে নিয়ে আমরা আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। যেখানে মারামারি হানাহানি থাকবে না। আমাদেরকে সহনশীল হতে হবে, সম্প্রীতি এবং শান্তির রাজনীতি করতে হবে। তাই ঢালাওভাবে কাউকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা, কিংবা কারো ওপর জুলুম করা যেটা আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে করেছে, আমরা যেন সে পথে না যাই।

 


এই বিভাগের আরো খবর