শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
সাংবাদিকদের ওপর ২৮ অক্টোবরের হামলার ঘটনায় ডিএমপির অনুসন্ধান কমিটি গঠন শিল্প ও সংস্কৃতির উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী পাইকগাছার আগড়ঘাটায় ৪দিন ব্যাপী বর্ষবরণের শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ঘাটাইলে পুকুর থেকে অজ্ঞাত শিশুর লাশ উদ্ধার পাইকগাছায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত নান্দাইলে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ্ ও প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত প্রাণি ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান যমুনা নদী‌তে অষ্টমীর স্না‌নে পুণ্যার্থীরাদের ঢল পাইকগাছার আগড়ঘাটায় ৪দিন ব্যাপী বর্ষবরণের ২য় দিনে ঢালি, জারি ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান জামালপুরে মহাষ্টমীর স্নান উৎসবে হাজারো পুর্ণার্থীর ঢল সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাষক এম সুশান্তের গণসংযোগ এলাকা শান্ত রাখার আহব্বান এমপি লাবু চৌধুরীর জামালপুরে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অন-লাইনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিল পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে : সাবের চৌধুরী মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা দিবে ক্ষুদে ডাক্তার সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক : তথ্য প্রতিমন্ত্রী রমজান, ঈদ ও নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার শ্রীপুরকে ‘স্মার্ট’ উপজেলা হিসেবে গড়তে চান মৌসুমি সরকার নান্দাইলে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা পাইকগাছায় নববর্ষ উপলক্ষে ৪দিন ব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন এমপি রশীদুজ্জামান সমুদ্রপথ নিরাপদ করতে প্রস্তাব তৈরি হচ্ছে : নৌ প্রতিমন্ত্রী বিএনপি বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূলে আঘাত করতে চায় : ওবায়দুল কাদের “সংযম প্রদর্শনের” প্রশংসা করতে পশ্চিমাদের প্রতি ইরানের আহ্বান ৩২ বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনা : দায়ী চালকের ৩ বছরের সাজা হাইকোর্টে বহাল ইসরায়েল ইরানকে পাল্টা আঘাত করবে, তবে কখন করবে তা অনিশ্চিত : নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিরসন ও গাজায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধ চায় বাংলাদেশ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘আল্পনায় বৈশাখ ১৪৩১’ বিশ্বরেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী সকল সংস্কৃতির সম্প্রদায়কে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন : পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্মারক উৎসব বাঙালির বর্ষবরণ সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি বেশি ভয়ঙ্কর : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আত্মহত্যার নামে অবহেলার মোড়কে হত্যা বন্ধ হোক

অনলাইন ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:০৫ পূর্বাহ্ন

Evana Laila Choudhury ফেসবুকে যখন খুঁজতে গেলাম, দেখি তার নাম Popular Now। কারণ তিনি মৃত, জাগতিক জীবনের দায়মুক্তি হয়েছে। এই দায়মুক্তি তার ইচ্ছাকৃত মানে সে আত্মহত্যা করেছে। আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের ভিন্ন মতবাদ আছে। যেকোনো ধর্মেই যা মহাপাপ, আর সামাজিকতায় তা দুর্বল মানসিকতার পরিচয়।এসকল মতামত নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কিন্তু কেনো মানুষ জীবন থেকে দায়মুক্তি চায় এটি নিয়ে আমার কিছু প্রশ্ন আছে। কিছুদিন আগে বেশকিছু কথা বলেছিলাম। আজ আবারো সেই কথাগুলোই লিখছি।

 দুটি ফুটফুটে সন্তানকে ভয়ানক পৃথিবীতে একা ফেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে একটা মায়ের কতখানি অসহায়ত্ব ছিলো একমাত্র সেই জানে, কেউ কি তার অসহায়ত্ব জেনেছি? অথচ আমরা বলবো সে যুদ্ধজয়ী নয়। কিন্তু কেনো বলবো? এর উত্তর আমার কাছে নেই। 

প্রতিদিন অন্তত একটি ইচ্ছে আত্মহত্যা করে পূরণ না হওয়ায়। হাজারো অভিমান আত্মহত্যা করে ; মান ভাঙানো ভালোবাসার অভাবে। ভাবনাগুলো আত্মহত্যা করে সামাজিক নিয়মের ফাঁদে পড়ে। আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নের আত্মহত্যা প্রতিদিনের চোখ রাঙানো বাস্তবতায়। সাজানো মন আত্মহত্যা করে একজন ভুল সঙ্গীর সংস্পর্শে। প্রতি মুহূর্তের আত্মহত্যার কোনো খবর কি আমরা রাখি। অথচ এতগুলো আত্মহত্যার ভার সইতে না পেরে শরীরের আত্মহত্যায় চলে নানা রকম বিশ্লেষণ। কেউ কষ্ট পেলে, তাকে বলি, কষ্ট কেনো পেতে হবে? যা হবার তাতো হবেই, তাকে মেনেই নিতে হবে। মেনে নেয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। কিন্তু আমার প্রশ্ন মেনে নেয়া আর মনে নেয়া কি এক? মনেই যদি না নেয়া গেলো তবে অভিমানী কষ্টের চিৎকার কি থেমে থাকে? হয়তো সেই চিৎকার আমরা শুনতে চাইনা বলে তার আওয়াজ আমাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না। নীরব চিৎকারে জমে থাকা ক্ষত কতটা যন্ত্রণার সেই হিসাব আমরা করিনা। আর তাই ভার বইতে না পেরে, একা যুদ্ধ করে অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

কতটা নিঃসঙ্গ আর হতাশাগ্রস্ত হলে এমন সিদ্ধান্ত আসে, তা হয়তো লিখে বোঝানো সম্ভব না। কিন্তু চাইলেই আমরা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারি।পাশের মানুষটিকে যত্ন করা, তার না বলা কথাগুলো শুনতে চাওয়া কিংবা তাকে কষ্ট না দেয়া। খুব কি আনন্দ হয় নিজের খনিক ভালো লাগায় অন্যের মনে স্হায়ী দাগ কাটতে? কেনো লিখলাম আবার একই কথা? ইভানাকে নিয়ে অনেকগুলো পোস্টে তার মৃত্যু না মেনে নেয়ার ক্ষোভ দেখেছি। আবার সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত অপার সৌন্দর্যের পাশাপাশি মনের সৌন্দর্যের নিষ্পাপ বর্ণনাও আমাকে মুগ্ধ করেছে। কিন্তু আমি কষ্ট পেয়েছি,তাই আবারো লিখলাম। একটা অদৃশ্য দায়ভার আমাকে মনে করিয়ে দিলো ব্যর্থতা। দুটি ফুটফুটে সন্তানকে ভয়ানক পৃথিবীতে একা ফেলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে একটা মায়ের কতখানি অসহায়ত্ব ছিলো একমাত্র সেই জানে, কেউ কি তার অসহায়ত্ব জেনেছি? অথচ আমরা বলবো সে যুদ্ধজয়ী নয়। কিন্তু কেনো বলবো? এর উত্তর আমার কাছে নেই।

এতগুলো প্রশ্ন মাথায় নিয়ে উত্তর খোঁজা আমি কিছু বলতে চাই। জীবনটা যেমন মূল্যবান, স্বপ্নময়। ঠিক তেমনি একবুক কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকা দুর্বিষহ, অর্থহীন। সম্পর্কের মূল্যায়ন জীবনটাকে সহজ করতে পারে। অতিলোভী মানসিকতা যেমন সম্পর্ক নষ্টের কারণ আবার দায়বদ্ধতায় একমুখী ভালোবাসা ভারমুক্ত জীবন। যেখানে শুধু আনন্দ,বাঁধা পেরিয়ে গুটি গুটি পায়ে স্বপ্ন বোনা আর সেই স্বপ্নে বসবাস। আসুন অন্যের জীবনের মূল্য দেই সুন্দর পৃথিবীর আয়োজনে। যেখানে ভাবলেশহীন ভাবনাগুলো গুরুত্ব পাবে ভালোবাসার তাগিদে। আত্মহত্যার নামে অবহেলার মোড়কে হত্যা বন্ধ হোক।

লেখক: তানজিনা পৃথা


এই বিভাগের আরো খবর