শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছেন সালথা থানার ওসি ঘাটাইলে ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড় কেনাকাটায় ব্যস্ত নারী পুরুষ শ্রীপুরে বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ,সড়ক অবরোধ ত্রিশালে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে ৩ জনের প্রাণহানি আগামী ২৫ রমজানের মধ্যে বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি ডিইউজে’র পাইকগাছায় জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা শ্রীপুরে লিচুর বাগানে মৌমাছি চাষে লাভবান খামারি ও চাষিরা সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী প্রভাষক এম সুশান্তের গণসংযোগ নান্দাইল উপজেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদাকে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সম্মাননা দশমিনায় মৎস্য ও নৌপুলিশের অভিযানে অবৈধ বাঁধা জাল জব্দ সেন্ট্রাল ল’ কলেজে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা পাইকগাছায় দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত তাড়াশে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত মহান স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদের শ্রদ্ধা স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণা জানাতে গণহত্যার নির্মমতা সামনে আনতে হবে পাইকগাছায় প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিক্ষকদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস চারদিনের সফরে আসছেন ভুটানের রাজা, তিনটি চুক্তির সম্ভাবনা মস্কোতে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী গাজায় হত্যাকান্ড বন্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া দুঃখজনক : প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি দেশের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়: ওবায়দুল কাদের পাইকগাছায় এমপি রশীদুজ্জামানের জন্মদিন উপলক্ষে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ ও দোয়া অনুষ্ঠান অবশেষে ত্রিশালের আলোচিত কাটা রাস্তা ভরাট চোখের আলো ফিরে পেতেচায় স্কুল ছাত্রী রোবিনা সাড়ে আট হাজার ডাকঘরকে ‘স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্টে’ রূপান্তরিত করা হবে : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী সেনাবাহিনীর আন্তঃ অঞ্চল আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ বিএনপি দেশকে মগের মুল্লুক বানাতে ব্যর্থ হয়ে খেই হারিয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনায় নতুন আক্রান্ত ৪২ জন, শনাক্তের হার বেড়ে ৬.১১ শতাংশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় আধুনিক কারিগরি ও প্রযুক্তি সন্নিবেশ করা হয়েছে : শেখ হাসিনা

ইভিএম মেরামতের টাকা চাইবে, না পেলে ভোট ব্যালটে : ইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাপ্রতিদিন
সোমবার, ২০ মার্চ, ২০২৩, ৪:৫৭ অপরাহ্ন
ইভিএম (ফাইল ছবি)

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের টাকা চেয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চাইবে তারা।

সোমবার (২০ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার আনিছুর রহমান এ কথা বলেন। টাকা পাওয়া না গেলে ইভিএমে ভোট অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও তিনি জানান।

ইসির তথ্যমতে, বিদায়ী নূরুল হুদা কমিশনের রেখে যাওয়া দেড় লাখ ইভিএম মেশিনের এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামত করতে হবে। পাশাপাশি বাকি ৪০ হাজার মেশিন ব্যবহারের প্রায় অযোগ্য। এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতে ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটা চিঠি দেওয়ার জন্য বলেছি। ইভিএম মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। সেটা পাওয়া যাবে কিনা, নিশ্চিত করার জন্য আমরা একটা চিঠি দিতে বলেছি। সেটা রেডি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেতে পারে।

টাকার নিশ্চয়তা এখনও পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অর্থবছর ভিত্তিক টাকা চাইবো। চলতি অর্থ বছরে অর্ধেক, পরবর্তী অর্থ বছরে বাকি অর্ধেক দেওয়ার জন্য একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে কী করবো, ব্যালটে কতটা করবো বা ইভিএমে আদৌ করবো কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, আমরা একেবারে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকবে পারবো না। আমরা যদি টাকা হাতে পাই এরপরও ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে মেরামত করার জন্য। কাজেই আমরা তো মনে করি এখনই হাই টাইম।

তিনি আরও বলেন, টাকা পাওয়া না পাওয়াটা (চিঠির জবাব) যদি আমরা আগামী কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাই; আগামী সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে বা তার পরের সপ্তাহে যদি পেয়ে যাই, তাহলে কিন্তু হাতে ছয় মাস সময় পাবো। অন্যথায় কিন্তু সময় পাবো না। ছয় মাস সময়ের পরে টাকা দিলে তো আমাদের লাভ হবে না। কারণ এক লাখ ১০ হাজার মেশিন যদি আমরা ব্যবহারযোগ্য করতে পারি তাহলে ৭০, ৮০ যে সংখ্যাটা (আসন) হয়, আমরা যেতে পারবো। না হলে তো পারবো না। বা করবো কি-না তা পরে সিদ্ধান্ত নেবো। আশা করছি, হয়তো টাকার ব্যবস্থা করবে সরকার।

তিনি বলেন, আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, যে টাকার একটা ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয় সেজন্যেই সর্বশেষ একটা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকার কোনও বরাদ্দ না দিলে কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। আবার কমিশনে আসবে এটা, কমিশন তখন যে সিদ্ধান্ত নেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে। সেটা এখন বলার সুযোগ নাই।

কতগুলো আসনে ইভিএমে করতে পারবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘সেটাও এখন পর্যন্ত পর্যালোচনা করে দেখিনি। যেগুলো আমাদের হাতে আছে সেগুলোসহই তো এক লাখ ১০ হাজার মেরামত যোগ্য। আরও ৪০ হাজার মেরামত করলেও ব্যবহারযোগ্য হবে না। কাজেই আমরা এক লাখ ১০ হাজারকেই মেরামত করবো। আর যদি আংশিক পাওয়া যায় বা কী হবে সেটা ওপর নির্ভর করবে তখন।’

সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে ১৮০ আবেদন
সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮০টা আবেদন পাওয়া গেছে জানিয়ে কমিশনার আনিছুর বলেন, আরও দুই চারটা বিভিন্ন দফতরে থাকতে পারে। আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে। কোনও আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে কাজ করবে সচিবালয়। আসনভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনের প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোনটার সীমানা পরিবর্তন করতে হবে, কোনটার লাগবে না তখন নির্ধারণ হবে।

আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে আসনভিত্তিক বিন্যাস হোক তারপর। বর্তমান সীমানাই বহাল রাখার আবেদন যারা করেছেন তাদের আবেদন তো আর আমলে নেওয়ার দরকার নেই। যদি বিপক্ষে কেউ বলে থাকে তখন শুনানির দরকার আছে। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন থাকতে পারে। কোনটায় আবার নতুন কোনও আবেদন থাকতে পারে। এটা যখন বিন্যাস করা হবে তখনই বোঝা যাবে, কে কী চেয়েছে। এটা করতে একটু সময় লাগবে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, একটু আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ অবস্থান জানতে পারলাম। এটা এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন তিনি ২৮ তারিখে ফিরবেন সম্ভবত। এরপর হয়তো মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ওঠবে। আমি তো মনে করি পরবর্তী অধিবেশনে এটি জাতীয় সংসদে ওঠতে পারে। আমরা যে রকম প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম মোর অর লেস ওই রকমই আছে। আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা আপনারা পাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, দেখা যাক। সংসদে যাওয়ার আগে কেবিনেট অনুমোদন করবে। আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অনুমোদ হতেও পারে নাও হতে পারে। আরও কয়েকটা স্টেপ বাকি আছে। কাজেই এই কথাগুলোর বলার মনে হয় এখন উপযোগী পরিবেশ না।


এই বিভাগের আরো খবর