নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার সল্যাঘটাইয়া গ্রামের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ ওবায়েদ উল্যা মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ৫০ বছর পূর্তিতে সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে উৎসব কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শামছুদ্দিন জেহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওবায়েদ উল্যা মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক শরীফ উল্যা বাহার। সভাপতিত্ব করেন ম্যানেজিং কমিটির সাভাপতি গোলাম জিলানী দিদার। উৎসবে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিল প্রাক্তণ ছাত্র বনাম বর্তমান ছাত্রদের মধ্যকার প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, কেক কাটা, আলোচনা সভা, আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো।
বিকাল তিনটায় জামিল মিশুর সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি একেএম শামছুদ্দিন জেহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- শরীফ উল্যা বাহার, প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন, সভাপতি গোলাম জিলানী দিদার, প্রাক্তন শিক্ষক আবু জাহের, প্রাক্তন ছাত্র আকতার রশিদ মুন, মুজিবুর রহমান, ৯৯ ব্যাচের আবুল হোসেন বিপ্লব ও স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্য মেহেদী হাসান। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর, তাই শিক্ষকদের উপযুক্ত সম্মান জরুরি। বর্তমানে আমরা ডিজিটাল যুগে আছি তাই সবকিছু হাতের নাগালেই পাচ্ছি কিন্তু যখন ডিজিটাল প্রযুক্তি কিছুই ছিল না তখন কত কষ্ট করে এই শিক্ষকরা তাদের ছাত্রদের পড়িয়েছেন শিখিয়েছেন, স্কুলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। অথচ তখন বেতনও ছিল কম। তিনি বলেন, একটি সমাজ তখনই উন্নত হয়, যখন সেখানে শিক্ষিত আলোকিত মানুষ থাকে। আমরা যদি প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করি। তবে আমাদের সমাজে জঙ্গিবাদ, মাদক, সন্ত্রাস ও বেকারত্ব থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। আমি উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতাম না আপনারা শিক্ষকরা এখানে চাকরির সুযোগ পেতেন না। জাতির পিতা যে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন তা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার যোগ্য উত্তরসূরি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আলোচনা সভা শেষে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদযাপন শেষ করা হয়।