আব্দুল বাশির, গোমস্তাপুর থেকে
আবু তালহা. একটি ফুটফুটে সুন্দর শিশু। বয়স মাত্র ২ বছর। অথচ এ বয়সেই তাকে সহ্য করতে হচ্ছে মরণব্যাধি ক্যান্সারের যন্ত্রণা। যে বয়সে শিশুটি মায়ের কোলে আদর সোহাগে বড় হওয়ার কথা, যে বয়স তার খেলাধুলার ঠিক তখনই তাকে ঘিরে ধরেছে এ মারাত্মক ব্যাধি। চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌর এলাকার উদয়নগর মহল্লার জাকির হোসেনের নাতি আবু তালহা। মা বিনা খাতুন (২৭) ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিল টাঙ্গাইল জেলার রাসেলকে। রাসেল পেশায় একজন সিএনজি চালক। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তাদের ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে শিশু সন্তান আবু তালহা। একদিন নিয়ম করে বাপের বাড়ি বেড়াতে আসে বিনা। সেই শেষ, তারপর থেকে স্বামী আর কোন খোঁজ নেয়নি। রাসেলের ব্যবহৃত ফোন অন্যজন ধরে। এ সংবাদে দিশেহারা হয়ে পড়ে মা বিনা। বিনা এ অবস্থায় তার শিশু সন্তান আবু তালহা কে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন খোঁজে। দেড় বছরের মাথায় বাচ্চাটির চোখের ব্যথা শুরু হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোমস্তাপুরে চিকিৎসা করে বাচ্চাটিকে ওষুধ খাওয়াতে থাকে। কিন্তু সমস্যা আরো বেড়ে যায়। অবস্থার অবনতি দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় আবু তালহাকে। সেখানে চিকিৎসায় ধরা পড়ে মরণব্যাধি ব্লাড ক্যান্সার। বাচ্চার এ রোগের খবর শুনে তাদের পরিবারে নেমে আসে হতাশার ছায়া। তার মা ও নানা-নানির পক্ষে এ রোগের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তালহার মা বিনা খাতুন জানায়, ছেলের দেড় বছর বয়স থেকে চোখের ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা আস্তে আস্তে বেড়ে যায়। স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করিয়ে কোন সুফল না পেয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করতে দেয়। টেস্টে রেজাল্ট পাওয়া যায় আমার ছেলে তালহা মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তারের পরামর্শ মতে ওষুধপত্র খাওয়ানো হলেও কোন উন্নতি হয়নি। গত দুই মাস থেকে ছেলের অসুখ বেড়ে যায়। তাকে নিয়মিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। ডাক্তাররা ভাল হওয়ার আশা প্রায় ছেড়ে দিয়েছেন। কিন্তু আমিতো মা, তার ভালো চিকিৎসার আশায় আজও দিন গুনছি।
প্রতিবেশী এমরান আলী বাবু বলেন, শিশু তালহা মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত। অসহায় পরিবার বিধায় সমাজের সকল বিত্তবান মানুষের শিশু তালহার চিকিৎসার্থে এগিয়ে আসা উচিৎ।
তালহা স্বাভাবিকভাবে দেখতে পাচ্ছে না। ২ মাস আগে তার ডান চোখের মনি নষ্ট হয়ে গেছে, আবার ১৫ দিন পর আরেকটি চোখের মনি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন সে প্রায়ই অন্ধ। প্রতিদিন তার চিকিৎসার জন্য ব্যয়বহুল টাকা খরচ হচ্ছে। যা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই তালহার পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ দেশের বিত্তবান ব্যক্তিদের নিকট ছেলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছে। যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তি সহযোগিতার হাত বাড়াতে চান তবে এই বিকাশ পার্সোনাল নম্বরঃ আবু তালহার মামা (জাহান আলী)- ০১৭৪৯৫৩০৪২০ এ করতে পারেন।