চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম মোসা গতকাল সোমবার দুপুরে চাটখিল মাছ বাজারে অভিযান চালিয়ে চিংড়ি মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক জেলি মিশ্রিত থাকার দায়ে প্রায় ৫ মণ চিংড়ি মাছ জব্দ ও ৩৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এই মাছগুলো চাটখিল মাছ বাজারের জননী মৎস্য আড়ৎ, সাগরিকা মৎস্য আড়ৎ ও নুর মোহাম্মদের মৎস্য আড়ৎ ও মোহাম্মদিয়া মিনি বাজার থেকে জব্দ করা হয়। এই ঘটানার দায়ে মোহাম্মদিয়া মিনি বাজারের ৫হাজার টাকা ও অন্য ব্যবসায়ীদের প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে ৩০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার ঘোষিত মা ইলিশ প্রজননকালীন সময় ০৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২২দিন ইলিশ মাছ ধরা ও বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাটখিল মাছ বাজারে প্রচারোভিযান চালান। এই সময় তিনি চিংড়ি মাছে বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত থাকার সন্দেহ করে বাজারের সকল আড়ৎ ও খুচরা বিক্রেতাদের মাছ যাচাই করে ৩টি মাছের আড়ৎ ও মোহাম্মদিয়া মিনি বাজার থেকে প্রায় ৫মণ বিষাক্ত রাসায়নিক জেলি মিশ্রিত চিংড়ি মাছ জব্দ করেন। জব্দকৃত মাছগুলো ধংস করা হয়েছে। এসময় তিনি জনসাধারন ও ব্যবসায়ীদের উদ্যেশে বলেন, বিষাক্ত রাসানিয়ক জেলি চিংড়ি মাছে মিশ্রিত থাকলে এই মাছ খেলে ক্যান্সার হতে পারে। তাই যাচাই-বাচাই করে মাছ ক্রয়-বিক্রয় করতে তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ করেন। পরে তিনি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন পরবর্তীতে কোন ব্যবসায়ীর কাছে বিষাক্ত রাসায়নিক জেলি যুক্ত মাছ পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা করা হবে।