নজরুল ইসলাম খান, ফুলবাড়ীয়া থেকে : মোছা: ফাতেমা বেগম ২০১৮ সালে সিসিডিবি-সিপিআরপি কর্তৃক গঠিত বিদ্যানন্দ রজনীগন্ধা ম: ফোরামের একজন নিয়মিত সদস্য। সেই সাথে ফোরামের সম্পাদিকা ও নেটওয়ার্ক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি ফোরাম থেকে ১ম ঋণ নিয়েছেন ১০,০০০/- কৃষিকাজ করা র জন্য। ২য় ঋণ ২০,০০০/- কৃষিকাজের জন্য নেয়া হলেও ৪টি কিস্তি দেওয়ার পর গত ১০ই মার্চ, ২০২০ সালে হঠাৎ করে তার স্বামী হার্ট স্ট্রোক করে মারা যান। ফলে উপার্জনক্ষম ব্যাক্তির মৃত্যুতে সংসারে দুর্যোগ নেমে আসে। এমতাবস্থায় ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কিভাবে তার সংসার চলবে এই চিন্তায় ভেঙ্গে পরে। তখন ফোরামের মাসিক সভায় সহযোগী সংস্থা সিসিডিবি-সিপিআরপির সংশ্লিষ্ট সমাজ সংগঠকের সাথে পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করায় তিনি বিভিন্ন আয়বৃদ্ধিমুলক উন্নয়নমুখী পরামর্শ প্রদান করেন। সিসিডিবি থেকে সে গবাদী পশু পালনের উপর প্রশিক্ষণ পেয়েছে এবং কেঁচো সার তৈরীর প্রশিক্ষণও পেয়েছে। এ পর্যন্ত ২টি গরুর গোবর থেকে তৈরি কেঁচো সার বিক্রি করে উপার্জন হয়েছে- ৮ হাজার ৫শ এবং কেঁচো বিক্রি করে-১ হাজার টাকা উপার্জন করেছে। রজনীগন্ধা ফোরামকে গ্রামীণ বিক্রয় ও সেবা কেন্দ্র করা হয় এবং ফাতেমা বেগমকে লোকাল সার্ভিস প্রোভাইডার করা হয় এবং লোকাল সার্ভিস প্রোভাইডার হওয়ায় বাড়তি আয়ের সুবিধা পায়। বর্তমানে সে ফোরামে স্যানিটারী ন্যাপকিন বিক্রি করছে। প্রতি প্যাকেট পাইকারী ৩১/- দরে ক্রয় করে বিক্রি করে খুচরা ৪০/-, এতে করে তার প্যাকেট প্রতি পরিবহন খরচ বাদ দিয়ে ৫-৭ টাকা লাভ হয়।
এলাকার একজন গণ্যমান্য সহৃদয় ব্যাক্তি ফাতেমার সংগ্রামী জীবন দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি সেলাই মেশিন কিনে দেন। সেই মেশিন
ব্যবহার করে সে আশে পাশের লোকের কাপড় এবং বাজারের ব্যাগ সেলাই করে টাকা উপার্জন করছে। এছাড়া হাঁস-মুরগীপালন,
সবজী বাগানে দিনমজুরী করে উপার্জন করছে। ঈদের সময় এলাকার বিভিন্ন ধনী ব্যাক্তিরা তাকে ফেতরা ও খাবার দিয়ে সাহায্য
করে। এভাবে সে চেষ্টা, বুদ্ধি ও পরিশ্রম দিয়ে সংসারকে টিকিয়ে রেখেছে। ফাতেমা পরিশ্রমের ফলে সফলতা অর্জন করেছে।