আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কিউবার বিখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগারের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যালোচনা শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র কিউবার দক্ষিণ-পূর্বে ক্যারিবীয় সাগরে কিউবার মাটিতে ২০০২ সালে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে কারাগারটি স্থাপন করে।
বন্দীদের অমানুষিক নির্যাতনের কারণে কারাগারটি বিশ্বের কুখ্যাত কারাগার হিসেবে পরিচিত। বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারী। এর পর দিন ২১ জানুয়ারি বিশ্বব্যাপী নিন্দিত গুয়ানতানামো কারাগার বন্ধের জন্য লিখিত আদেশ স্বাক্ষর করে। তবে তার এ আদেশ কংগ্রেসের বিরোধিতার মুখে বাস্তবায়িত হয়নি।
রয়টার্স নিউজ এজেন্সি শনিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বরাত দিয়ে জানায়, বাইডেন প্রশাসন গুয়ানতানামো বে কারাগার বন্ধের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক পুনর্মূল্যায়ন শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন দুইজন সহযোগী চলতি সপ্তাহ অথবা মাসের মধ্যে এ বিষয়ে বাইডেন এ বিষয়ে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করবেন বলে ধারণা করছেন।
২০১৬ সালের নির্বাচনী প্রচারে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুয়ানতানামো কারাগার চালু রাখার ঘোষণা দেন। সে সময় ট্রাম্প বলেন, মন্দ লোকজনকে দিয়ে কারাগারটি ভর্তি করা হবে।
জর্জ বুশের সময় থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মার্কিন গোয়েন্দারা জঙ্গি সন্দেহে লোকজনকে আটক করে করে এই কারাগারে রেখেছেন। এখনো সেখানে ৪০ জন বন্দী আটক থাকার কথা জানা যায়। এর মধ্যে ২৬ জনকে ভয়ংকর জঙ্গি হিসেবে চিহ্নিত করেছে মার্কিন প্রশাসন। এই ২৬ জনকে ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু এসব বন্দির মামলার জটিলতার কারণে আইনি প্রক্রিয়াও বিলম্বিত হচ্ছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমিলি হর্ন বলেন, পূর্ববর্তী প্রশাসনের কাছ থেকে পাওয়া এই কারাগারের বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার দায়িত্ব আমরা নিয়েছি। এটি বন্ধ করে দেওয়ার উদ্দেশ্য থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।