মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, ঝালকাঠি, বরগুনা, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় দঃ আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের সেকান্দার আলীর ছেলে মোঃ শাহ আলম গাজী ৩৩ শতক জমিতে উফশি আমন জাতের ব্রি ধান-৮৭ চাষ করে ব্যাপক ফলনের সাম্ভবনা রয়েছে। এই ধানে চিটা এবং পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কম। বেশি ফলন এবং চাল চিকন ও সাদা বর্ণের হওয়ায় নতুন জাতের এই ধান চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। গতকাল সোমবার মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃর্ষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ব্রি ধান-৮৭ নামে নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করেন বিজ্ঞানীরা। ২০১৭ সালে গত বছর পরীক্ষামূলক চাষের পর স্বল্প পরিসরে অংশীদারমূলক পদ্ধতিতে কৃষক পর্যায়ে এই ধানের চাষ হয় বরিশালের রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসের পতিত জমিতে। ধানের বীজ রোপনের ১২৫ থেকে ১৩০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়ম মেনে চাষাবাদ এবং পরিচর্যা করায় নতুন উদ্ভাবিত ব্রি ধান-৮৭ এর ফলন বাম্পার সাম্ভবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বরিশাল আঞ্চলিক কেন্দ্রিয় মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ব্রি এর প্রধান ড. মো. আলমগীর হোসাইন জানান, নতুন জাতের এই ধানের চাল চিকন এবং বর্ণ সাদা। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কৃষকরা এই ধান চাষ করলে লাভবান হবেন। নতুন জাতের ব্রি ধান-৮৭ আগামী আমন মৌসুমে কৃষকের কাছে প্রধান জাতের ধান হিসেবে পরিগণিত হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসাইন বলেন, উফশি আমন জাতের ব্রি ৮৭ জাতের ধান কান্ড শক্ত ও লম্বা হওয়ায় জাতটি এ অঞ্চলের জন্য খুবই উপযোগী। এই জাতটি একদিন এতদাঞ্চলে একটি মেগা ভ্যারাইটি রূপে আত্মপ্রকাশ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।