ময়মনসিংহ অফিস:
ময়মনসিংহে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ এবং পৃষ্ঠপোষক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধান বাস্তবায়নে স্টেকহোল্ডারদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ময়মনসিংহের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিভিল সার্জন অফিসের হলরুমে এই সভা হয়। উশিকা সমাজ কল্যাণ সংস্থার সহায়তায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। নাটাবের সহ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুদল হামিদের সভাপতিত্ব বক্তব্য দেন নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদের সঞ্চালনায় ডেপুটি সিভিল সার্জন, ডা. পরীক্ষিত কুমার পাড়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম, মেডিকেল কর্মকর্তা ফয়সাল আহেমদ, সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স পরিদর্শক ইফতেখারুল ইসলাম। এর আগে মতবিনিময় সভায় নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার একেএম খলিল উল¬াহ প্রজেক্টরের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের নানা ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরেন। সভায় সিভিল সার্জন বলেন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণে আইন করতে হবে। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্যে ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরে ব্যাপক প্রচারণা, অভিভাবকদের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে অধিকমাত্রায় কাউন্সিলিং করতে হবে। তিনি বলেন, অভিভাবক সচেতন হলেই তামাকজাতদ্রব্য কোমলমতি শিশু কিশোরদের মাঝে ব্যবহার কমবে। একই সাথে যে সমস্ত এলাকায় কৃষক সাধারণ তামাকজাতদ্রব্য উৎপাদন করেন প্রয়োজনে তাদেরকে ভর্তুকি দিয়ে তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন করতে উৎসাহিত করে তুলতে হবে। এর আগে নাটাবের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, ময়মনসিংহ নগরীর ২ হাজার ৩৯১টি দোকান ও স্পটে তামাকজাত দ্রব্য বিড়ি, সিগারেট কেনা বেচা হচ্ছে। অহরহ যেখানে সেখানে তামাকজাত দ্রব্য কেনা বেনা কমানোসহ বিক্রেতাদেরকে আইনের আ্রতায় আনতে লাইসেন্স প্রথা চালু করা উচিত। তাহলে বেআইনীভাবে অপ্রাপ্তদের কাছে সিগারেট বিক্রি কমে আসাসহ সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।