ইমরুল হাসান বাবু, টাঙ্গাইল থেকে:
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হাট বিলীন হয়ে যাচ্চে। এতে হুমকির মুখে পড়ছে শত শত ঘরবাড়ী ও বসতভিটা। জানা যায়, গত সোমবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বেলটিয়া বাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ঘর, আলীপুর মাদ্রাসার তিনটা ঘর, আলীপুর জামে মজজিদ ও হাটের জায়গা বিলীন হয়ে যায়। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু কয়েকটা ব্রেঞ্চ বের করা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য আসবাপত্র সব রাক্ষুসী যমুনা নদীর পেটে চলে গেছে। এছাড়াও আশে পাশের শত শত বাড়িঘর ও বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে সব বিলীয় হয়ে যায় মাদ্রাসা ও মসজিদের সব আসবাব পত্র সরানোর মতো সময় পাইনি। তিনি ভাঙনরোধে এই এলাকায় একটি স্থায়ী বেরী বাধের দাবি জানান। রমজান আলী বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার ঘরবাড়ি সরাইছি। তারপরও হুমকির মুখে রয়েছি। কখন বুঝি আবার বর্তমান বাড়িটি যমুনা গিলে খায়।
গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান মো.হযরত আলী তালুকদার জানান, নদী ভাঙনের দৃশ্য আর ভাল লাগে না। এক রাতে যমুনা নদী কেড়ে নিল আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েকজনের ঘরবাড়ী। যে প্রতিষ্ঠানে কিছু দিন আগে ও ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা মাঠে দৌড়াদৌড়ি করছে আজ সেটা শুধুই দৃশ্য। আমাদের জন্য স্মৃতি হিসাবে রাক্ষুসী যমুনা নদী রেখে গেছে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা যে ব্রেঞ্চ বসে থাকত সেই ব্রেঞ্চ। তিনি আর ও জানান আমাদের ইউনিয়নে এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ দিলে হযতো প্রতিষ্ঠানগুলো ভাঙতো না। সরকারের কাছে দাবী দ্রত আমাদের এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ দেওয়া হক। বিষয়টি গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হযরত আলী তালুকদার। এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিক পাওয়া গেলে কাল থেকেই ভাঙনরোধে কাজ ধরা হবে। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হবে।