ময়মনসিংহ অফিস:
ময়মনসিংহে অটোরিক্সা চালক রুবেল হত্যা মামলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে তিন ঘাতককে গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেÑ আরিফুর রহমান হাসান মীর, সজিব মাহমুদ রোজ ও ইমন হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা অটো রিক্সা ছিনতাই করতেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বিকার করে। ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, শম্ভুগঞ্জ রাঘবপুর গাঙ্গপাড়ার অটোরিক্সা চালক রুবেল প্রতিদিনের ন্যায় নিজ বাড়ি থেকে গত ১২ জুলাই অটেরিকশা নিয়া শম্ভগঞ্জ মোড় থেকে পাটগুদাম সেতু মোড় এলাকায় ভাড়া মারার উদ্দেশ্যে যায়। ওই দিন রুবেলে মোবাইল বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পায়নি। পরদিন ১৩ জুলাই লোকমুখে জানতে পায় নগরীর ঝাউগড়া চিড়া হরিবন্ধ এলাকায় ডোবার জলে একটি লাশ পড়ে আছে। এ খবরে রুবেলের ভাই সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের লাশ শনাক্ত করে। এঘটনায় নিহতের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা নং ৩০, তাং ১৩/৭/২০২১ দায়ের করে।
ডিবির ওসি আরও জানান, অটোচালক রুবেলকে শ্বাসরুদ্ধ ও ইট দিয়ে মাথা থেতলিয়ে হত্যা ও অটো ছিনতাইয়ের ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়ে ঘাতকচক্রকে দ্রুততম সময়ে গ্রেফতার করে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে দায়িত্বশীল পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব প্রদান করে। দায়িত্বপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ ঘাতককে ডিবি পুলিশ গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেÑ আরিফুর রহমান হাসান মীর, সজিব মাহমুদ রোজ ও ইমন হোসেন। গ্রেফতারকৃতদের বরাত দিয়ে ডিবির এসআই মনিরুজ্জামান আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে ইমন, আরিফ, সজিব ও আপন সরাসরি জড়িত। ইমন পুলিশকে জানায়, ওই দিন সন্ধ্যায় ইমনকে আরিফ বলে একটি ধান্ধা আছে। ৫/৬ শত টাকা পাওয়া যাবে। এ কথায় ইমন রাত ১০ টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড়ে আসে। শম্ভুগঞ্জ মোড়ে থেকে তারা রুবেলের মিশুক অটো ভাড়ায় নিয়ে কলতাপাড়া গিয়ে পান সিগারেট খেয়ে চলে আবারো চলে আসে চান পাম্পের সামনে। এ সময় ইমন প্রাকৃতিক কাজ সারতে যায়। এসে দেখতে পায় অটোচালক রুবেলের নিথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে এবং আরিফ ও সজিবের হাতে বেল্ট। ইমন পুলিশকে আরও জানায়, আরিফ ও সজিব তাকে বলে লাশটা ধর ডোবায় ফেলে দেই। পরে ইমন, আরিফ ও সজিব লাশটি ধরে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। এর আগে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে কোতোয়ালী পুলিশ আপন নামে আরো একজনকে গ্রেফতার করে।