মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
অভাবের তাড়নায় প্রায় এক মাস ধরে পানিতে চালের গুঁড়া মিশিয়ে সেদ্ধ করে, কখনো ভাতের মার , আবার কখনো পানির সঙ্গে আটা কিংবা ময়দা মিশিয়ে শিশু মোহাম্মদকে খাওয়াচ্ছিলেন অসহায় মা আমেনা বেগম। অবশেষে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সেই অসহায় মায়ের পাশে দাঁড়ালেন শিবালয় থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির। অসহায় মায়ের জন্য খাবার ও শিশু মোহাম্মদের জন্য দুধ কিনতে আর্থিক সহায়তা করেন ওসি ফিরোজ কবির। শিশু মোহাম্মদ এখন দুধ খেতে পারছে। হাসি ফুটেছে আমেনা বেগমের মুখে। আমেনা বেগম শিবালয় উপজেলার উথুলী ইউনিয়নের ছোট ব্রাক্ষণকুল গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের মেয়ে। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই এলাকায় থাকেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীমের নির্দেশে শিবালয় থানায় ডেকে এনে আমেনা বেগমকে আর্থিক সহায়তা করেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন তদন্ত ওসি আশীষ শ্যানাল। শিশু মোহাম্মদের মা আমেনা বেগম বলেন, অভাবের তাড়নায় গত ১ মাস বাচ্চার মুখে দুধ দিতে পারিনি। চালের গুঁড়া, আটা, ভাতের মার, ময়দা পানিতে মিশিয়ে খাইয়েছি। কেউ খোঁজ নেয়নি । ওসি স্যার আমার বাচ্চার জন্য দুধ কিনে দিয়েছেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর সেই বাড়ি থেকে আমাকে তারিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন খুব খুশি। এখন আমি আমার বাবার বাড়ির এলাকায় বোনের বাড়িতে থাকি। আমার কিছু চাওয়ার নেই। বাচ্চারা ভালো থাকলেই আমি ভালো থাকবো। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিবালয় থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে অসহায় আমেনা বেগমকে অর্থ ও খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তার শিশু বাচ্চার জন্য দুধ কিনতে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। তার মৃত স্বামীর বাড়ির ওয়ারিশ বুঝে পেতে তাকে আইনি সহায়তা করা হবে।