খেলাধুলা ডেস্ক : করোনার অজুহাতে নিয়মিত খেলোয়ারদের প্রায় ডজনখানেক ক্রিকেটারই আসেননি বাংলাদেশে। উইন্ডিজ দলটা বেশ দুর্বল হলেও এভাবে আত্মসমর্পন করবে এটা নিশ্চই তারা চাননি।
বিশ্বসেরা সাকিব, অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের সিমিং বোলিংয়ে মাত্র ১২২ রানেই গুটিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৩২.২ ওভারেই শেষ হয় ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
টাইগারদের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি উইন্ডিজদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১১ সালে চট্টগ্রামে ৬১ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি।
দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরা সাকিব আল হাসান ও আজই প্রথমবারের মতো খেলতে নামা হাসান মাহমুদ- এ দুই বোলারের ভেলকিতেই মূল কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনআপ। যদিও শুরুটা করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান, একটি উইকেট গেছে মেহেদি হাসান মিরাজের ঝুলিতেও। জিততে হলে মাত্র ১২৩ রান করলেই হবে টাইগারদের।
অভিষিক্ত হাসান মাহমুদ মাত্র ২৮ রান খরচায় নিয়েছেন ৩ উইকেট। তার চেয়েও এগিয়ে সাকিব আল হাসান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক বোলিং করে ৭.২ ওভারে মাত্র ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন সাবেক বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান নিয়েছেন ২ ও মেহেদি মিরাজের শিকার ১ উইকেট।
প্রায় দশ মাস পর খেলতে নেমে টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। অভিষেক হয় হাসান মাহমুদের। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রথমবারের মতো ওয়ানডে খেলতে নামেন ছয়জন- আকিল হোসেন, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, চেমার হোল্ডার, জশুয়া ডা সিলভা, কাইল মায়ারস এবং এনক্রুমাহ বোনার।ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়েও স্পষ্ট ছিল অনভিজ্ঞতার ছাপ। বলের লাইন-লেন্থ ঠিকঠাক না বুঝেই শট খেলেছেন একেকজন, হারিয়েছেন নিজেদের উইকেট। মাঝে ষষ্ঠ উইকেটে রভম্যান পাওয়েল ও কাইল মায়ারসের ৫৯ রানের জুটি ব্যতীত ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে ছিল না তেমন কিছুই। অভিষিক্ত মায়ারস করেন ৪০, রভম্যান পাওয়েলের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
এ দুজন ব্যতীত দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন আর মাত্র দুজন- অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ (১৭) ও আন্দ্রে ম্যাকার্থি (১২)। বাকি ছয়জনই ফিরেছেন এক অঙ্কে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে সহ-অধিনায়ক সুনিল অ্যামব্রিসকে দিয়ে শুরু, যা শেষ হয়েছে ৩৩তম ওভারে আলঝারি জোসেফের মাধ্যমে। প্রথম উইকেট নেন মোস্তাফিজ আর শেষেরটি যায় সাকিব আল হাসানের ঝুলিতে।