রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
গৃহবধূর গোসলের নগ্ন ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি, মোটা অংকের টাকা আদায়, গ্রেপ্তার ১ পাইকগাছায় রূপসী বাংলা সমাজকল্যাণ ও সাহিত্য পরিষদের পাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাকিবুল হাসান লাবুর নিজ উদ্যোগে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতারণ নান্দাইল ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি মতিউর রহমান সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান ফকির বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন ও বনভূমি রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে : পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সোমবার দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত : ওবায়দুল কাদের শহীদ শেখ জামালের কবরে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা ওপার বাংলার গান গাইলেন কামরুজ্জামান রাব্বি গৃহবন্দীদশা থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধ অংশ গ্রহণ করেন কিশোর শেখ জামাল আসন্ন নান্দাইল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে ব্যাপক গণসংযোগ করেন মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাসলিমা বেগম তামান্না নান্দাইলে আওয়ামীলীগ নেতার নিজস্ব অর্থায়নে ৫০ জন ইমামদের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান ত্রিশালে ধান কাটতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে মৃত্যু তীব্র তাপদাহের সুযোগে পাইকগাছায় গলাকাটা দরে কেজিতে তরমুজ বিক্রয় সাংবাদিক নাদিম হত্যাকারীরা জামিনে এসে পরিবারকে হুমকি,১০ মাসেও আটক হয়নি মূল খুনি শরণখোলায় ভ্রাম্যমাণ প্লান্ট থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে খাবার পানি শাহজাদপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা বেলকুচি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আব্দুল আলিম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল সিরাজগঞ্জে পাঁপড়ি ব্লাড ডোনার সোসাইটির ১ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও কমিটি গঠন নান্দাইলে পরিকল্পনা মন্ত্রীর ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় শরণখোলায় গাছচাপা পড়ে মুয়াজ্জিনের মৃত্যু দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ চালক ও হেলপারের মর্মান্তিক মৃত্যু সালথায় প্রখর রোদ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায় ঝিনাইগাতীতে ভারতীয় মদ সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার নন্দীগ্রামে ছাত্রলীগের দিনভর বৃক্ষরোপন ও প্রচার র‌্যালি প্রেম করে বিয়ে,ফ্ল্যাট থেকে চিরকুট সহ স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার পাইকগাছা নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষার আগেই নিয়োগ চুড়ান্ত কাঁচা আমের শরবত বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নবাবগঞ্জে ত্বীন ফল চাষে সফল তিন বন্ধু

অনলাইন ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৮ অপরাহ্ন

শামীম হোসেন সামন, নবাবগঞ্জ থেকে:
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের হযরতপুর গ্রামে মাত্র ১০ শতাংশ জমিতে সখের বশে তিন বন্ধু মিলে শুরু করেন ভিনদেশী এই ফলের চাষ। শুরুটা সখের বশে হলেও এখন তারা স্বপ্ন দেখছে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের। এখন বানিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করেছেন। অল্প সময়ে বেশি ফলন, স্বল্প মূলধনে অধিক উৎপাদন হওয়ায় অনেকেই ত্বীন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। গ্রামের শিক্ষিত যুবকরাও ত্বীন ফল চাষের জন্য চারা কিনে বাড়িতে রোপন শুরু করেছে। বাজারে চাহিদা ভালো হওয়ায় দিন দিন ত্বীন ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে এলাকার অনেকেই। ১ কেজি ত্বীন ফল হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একবছর আগে ইউটিউবে ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিন বন্ধু মিলে শুরু করেন ডুমুর বা ত্বীন ফলের চাষ। কোনোরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াাই ইউটিউবে ভিডিও দেখে দেখেই যাত্রা শুরু হয় তাদের। গাজীপুর মাওনার একটি নার্সারী থেকে গাছের চারা সংগ্রহ করেন তারা। নিজেরাই সময় ভাগ করে যত্ন নেন গাছের। অল্প দিনে দেখেছেন সফলতার মুখ। পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি এই ফল ও গাছের কলম দিতে চারা বিক্রি করে তারা লাভবান হচ্ছেন। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই ফল বাজারজাত করণের উদ্দেশ্যে বাগান বর্ধিত করার কাজ চলছে।
শুরুর গল্প বলতে গিয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি ছোটবেলা পবিত্র কুরআনে ত্বীন ফলের বিষয়ে জানতে পারি। এর গুনাগুন ও মর্যাদা অনেক বেশি তাই মহান আল্লাহ ত্বীন ফল নিয়ে শপথ করে আয়াত নাযিল করেছেন। সেই থেকে জানা কিন্তু এই ত্বীন ফল যে ডুমুর তা জানতাম না। আমাদের দেশের ডুমুর আর আরবের ডুমুর দেখতে অনেকটা এক হলেও রয়েছে স্বাদ ও মানের তফাৎ। হঠাৎ ইউটিউবে ভিডিও দেখে জানতে পারি বাংলাদেশে আরবের ত্বীন ফল অনেকেই চাষ করছে। তারা বেশ সফলতাও পেয়েছেন। আমরা প্রথমে বাণিজ্যিক চিন্তা না করলেও এখন এটাকে নবাবগঞ্জ সহ সারা দেশে বিক্রির চিন্তাা করছি। এখন অনেকেই শখের বসে বাগান দেখতেও আসেন। অনেকেই জানতে চায় রোপনের নিয়ম। আর নিচ্ছেন পরামর্শও। বর্তমানে আমরা বানিজ্যিকভাবে শুরু করেছি। চারাও বিক্রি করছি প্রতিনিয়ত। এছাড়াও কলম দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। ধীরে ধীরে অনেকেই ত্বীন ফল সম্পর্কে জানতে পারছে।
আরেক ত্বীন চাষী হাসান মৃধা বাপ্পি বলেন, ১৮৬ পিছ চারা নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি। আমরা চিন্তাও করতে পারি নাই যে আমাদের সখের প্রজেক্ট সফলতার মুখ দেখবে। সত্যি বলতে আমি অনেক খুশি। অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে আমাদের বাগান দেখতে। এটা খুব ভালো লাগে আমার। পাশাপাশি লাভবানও হচ্ছি। আমরা প্রতি পিস চারা ৬শ ৫০ টাকা করে কিনে আমি। আর প্রতি কেজি ত্বীন ফল বিক্রি হয় ৮শ থেকে ১ হাজার টাকায়।
প্রখর চন্দ্র বাড়ৈ ও এই স্বপ্নের একজন অংশীদার তিনি বলেন, এই ত্বীন ফলের পুষ্টিগত মান অনেক বেশি। এটা মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি সুস্বাদু ফল। নিজ উদ্যোগে আমরা এই ত্বীন ফল চাষ শুরু করেছি। যদি সরকারি ভাবে সহযোগিতা পাই তবে সারা দেশে আমরা এই ফল রপ্তানি করতে পারব।
গাছ রোপণের প্রথম বছরেই গেছে ত্বীন ফল। প্রতিবছর এই ফলন বৃদ্ধি পায়। প্রায় ১২ মাসই এই গাছ থেকে ফল হয়। তাই সারা বছরই বিক্রির সম্ভাবনাময় এই ফল চাষ করে বেকারত্ব দূর করতে পারে যুবসমাজ। সংশ্লিষ্টদের দাবি, এ জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষন ও সরকারি সহায়তা।
নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো ঃ নাহিদুজ্জামান বলেন, যেহেতু ত্বীন ফল আমাদের দেশের ফল না। তাই সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ বা সহযোগিতার সুযোগ আসেনি। যেহেতু এই বিষয়টি নতুন আশা করি পরবর্তীতে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ, চারা সংগ্রহ বা বিতরণ করা যাবে। তবে হযরতপুরের ত্বীন চাষি কে প্রাথমিক ভাবে আমি একটি ধারণা দিয়েছি। পরে তারা নিজ উদ্যোগে ত্বীন ফল চাষ শুরু করেছে। আশাকরি তারা এই ফল চাষ করে স্বাবলম্বী হতে পারবে।


এই বিভাগের আরো খবর