চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ৩১টি পদে ১১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার আগেই অফিসের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম এবং সিডিএ সচিব রবীন্দ্র চাকমার নাম ভাঙ্গিয়ে চাকুরী দেয়ার নিশ্চিয়তা দিয়ে গোপনে চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা অবৈধ লেনদেন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে মামলা থাকার পরও এ পর্যন্ত তিনবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অফিসের লোকজন চাকুরী দেয়ার নামে চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি সিডিএ চেয়ারম্যানের পিএস জমির উদ্দীন বিভিন্ন গণমাধ্যমে স্বীকারোক্তি দিয়ে স্বীকার করেছে। সবে মাত্র গত ২১ অক্টোবর সিডিএ সচিব রবীন্দ্র চাকমার স্বাক্ষরতি একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩১টি পদে ১১৫ জন বিভিন্ন পদে লোকবল এতে ৩১ পদে ১১৫ জন নিয়োগে লেনদের বিয়ষটি সিডিএ চেয়ারম্যানের পিএসের স্বীকারোক্তিতে প্রকাশিত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালে ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে বিধি মোতাবেক না হওয়ায় বিজ্ঞপ্তি বাতিল করতে বাধ্য হন।
আরও দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে হাজার হাজার চাকুরী প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিগুলো বিধি মোতাবেক না হওয়ায় বাতিল করতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। অনেকে সরকারি বিধি মোতাবেক আবেদন করলেও তাদের সরকারি পে-অর্ডারের টাকা ফেরতও দেয়নি অনেকের সরকারি চাকুরীতে প্রবেশের বয়সও চলে গেছে। উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিষয়ে কোন নির্দেশনা না থাকায় পুরোনো চাকুরী প্রার্থীরা নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পুরোনো বিজ্ঞপ্তি অনুসারে লোকবল নিয়োগের দাবি জানান। সিডিএ ভবনে চেয়ারম্যান সচিবসহ অফিস স্টাফরা সিন্ডিকেট করে কাকে কোন পদে নিয়োগ দেয়া হবে অনেক আগেই নির্ধারণ করে লেনদেন হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।