বয়স জালিয়াতি ও ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ ব্যবহার করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে (বিপিসি) চাকরি নেয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদ হোসাইন আজাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে ছয়টি সরকারি দপ্তরে লিগ্যাল (উকিল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছাত্র সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সোভারেন্টি’র আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হকের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আহসান এই নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশটি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান বরাবর পাঠানো হয়েছে।
নোটিশে অভিযোগ করা হয়, ২০০৯ সালের ১৩ মার্চ বিপিসির উপ-ব্যবস্থাপক (বিপণন) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সময় মোরশেদ হোসাইন আজাদের বয়স ছিল ৩৬ বছর ৪ মাস ২১ দিন, অথচ বিজ্ঞপ্তিতে বয়সসীমা চাওয়া হয়েছিল অনূর্ধ্ব ৩৫ বছর। তাছাড়া অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে গ্লোয়ার ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ভুয়া সনদপত্র দাখিল করা হয়, যা পরবর্তীতে অডিটে ধরা পড়ে। এ বিষয়ে অডিট আপত্তি উঠলেও কোনো তদন্ত হয়নি।
নোটিশে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন অনিয়মে জড়িয়েছেন। ২০২১ সালের ৫ ডিসেম্বর যমুনা অয়েল কোম্পানির মোংলা ইন্সটলেশনের তৎকালীন ব্যবস্থাপক (পরিচালন) একেএম জাহিদ দুর্নীতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে দুদকে অভিযোগ করলেও তা যথাযথভাবে তদন্ত হয়নি।
লিগ্যাল নোটিশে মোরশেদ হোসাইন আজাদের চাকরিচ্যুতি, প্রতারণা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাত দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেওয়ায় মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাই কোট বিভাগে রীট দায়ের করেন গত বৃহস্পতিবার ( ২৩ অক্টোবর, ২৫) সংশ্লিষ্ট শাখায়।