রাজারহাট উপজেলার চান্দামারি আমের তল হইতে রতিগ্রাম মেডিকেল মোড় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার পাকা সড়কটি প্রায় চার বছর ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত ও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। পণ্যবাহী ট্রলি ও ভ্যান খানাখন্দে উল্টে দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন অনেকে।
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গ্রাম পুলিশ আব্দুল গণি বলেন,“কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে পুকুর পাড়ের ভাঙ্গা সড়কে চাল সহ একটি ভ্যান গাড়ি উল্টে যায়। তিনি আরও বলেন দীর্ঘদিন সংষ্কার না করার কারণে দুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। ”
সড়কের বেহাল অবস্থা দেখে সম্প্রতি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ সেবা সংস্থার পক্ষ থেকে ইট-খোয়া দিয়ে কিছু অংশ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে আর্থিক সংকটের কারণে তারা পুরো রাস্তা মেরামত করতে পারেনি।
বিদ্যানন্দ সেবা সংস্থার সভাপতি এরশাদুল হক বলেন,রাস্তাটি নির্মাণের পর থেকে আর কোনো সংস্কার করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কের পিচ,খোয়া উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে একাধিকবার সংস্কারের আবেদন করেছি,কিন্তু লাভ হয়নি।”
স্থানীয় শিক্ষক এরশাদুল হক জানান,রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় মোটরসাইকেল, ভ্যান ও অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, রোগী ও সাধারণ মানুষ প্রতিদিনই ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সুখদেব এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক মনিবুল হক বসুনিয়া বলেন,রাস্তাটার অবস্থা এমন যে, বৃষ্টি হলেই কাদা আর পানি জমে চলাচলই অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমি ব্যক্তিগতভাবে উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশল দপ্তরে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছি। প্রায় এক বছর আগে আমাকে আশ্বস্ত করা হলেও এখনো কাজের কোনো অগ্রগতি দেখছি না।
একতা বাজারের ব্যবসায়ী শাহ আলম বলেন,সামনে ধান ও আলুর মৌসুম আসছে। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারণে মালবাহী ট্রলি-ভ্যান যাতায়াতে প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় আমাদের পরিবহন ব্যয় বাড়ছে। দ্রুত সংস্কার কাজ করে জনগণের চলাচলের উপযোগী করা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জরুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটির সংস্কারের জন্য উপজেলা প্রকৌশল দপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। আশাকরি অচিরেই কাজ শুরু হবে।
রাস্তাটি কবে নাগাদ সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে জানতে চাইলে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলী মো.আব্দুর রশিদ মণ্ডল বলেন,চলতি বাজেটে রাস্তাটির সংস্কারের বরাদ্দের আবেদন প্রসেস করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই কাজ শুরু করা যাবে।