সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করলে যারা এখনও বিভিন্ন হাউসে বসে অপসাংবাদিকতা করছেন, সেসব ফ্যাসিবাদের দোসররাও সুরক্ষা পাবে। তবুও সরকার দ্রুত সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, গেল ১৫ বছরে যারা অপসাংবাদিকতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো সাংবাদিক সংগঠন বা ইউনিয়ন শ্বেতপত্র প্রকাশ করেনি। এ নিয়ে কেউ ক্ষমাও প্রার্থনা করেনি।
রোববার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের সঠিকভাবে বেতন ও মজুরি না দিলে প্রতিষ্ঠানের অ্যাক্রিডিটেশন ও সরকারের পক্ষ থেকে সব সুবিধা বাতিল করা হবে।
তিনি জানান, এন্ট্রি লেভেলে একটি বেসিক সেলারি ঠিক করতে চায় সরকার। ১২ কিংবা ১৫ হাজার সেলারি কোনোভাবে সাংবাদিকদের বেতন হতে পারে না।
তথ্য উপদেষ্টা জানান, অনলাইন প্লাটফর্মে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে নীতিমালা করতে আগামী সপ্তাহ নাগাদ সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। নির্বাচনকালীন সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আলোচনা করা হবে। গুজব ও অপতথ্য রোধে সব প্রতিষ্ঠানকে উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, তার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যম কমিশন গঠন করতে চায়, যেখানে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং যে বডি পত্রিকার সার্কুলেশন ও টেলিভিশনের সম্প্রচার নিয়ন্ত্রণ করবে পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সাংবাদিকরা কষ্ট করে ঠিক তথ্য সংগ্রহ করেন। আর সেগুলো বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ব্যাঙের ছাতার মতো তৈরি হওয়া ওয়েব সাইট। এভাবেই ভুল তথ্য ছড়ায়। তিনি বলেন, আমরা চাই দেশ সাংবাদিকতার জন্য তৈরি হোক। এজন্য সাংবাদিকদের বেতনও ভালো হওয়া উচিত।