১। বাদীর দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, নিহত সুজন মিয়া (২৯), পিতা-মোঃ আমিনুল হক, সাং-চরজামাইল, থানা- হোসেনপুর, জেলা-কিশোরগঞ্জ একটি সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাস করে আসছিল। তার স্ত্রী ডিভোর্স প্রদান করে অন্যত্রে চলে গেলে সে মানসিক বিষন্নতায় ভুগায় রাত বিরাতে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াইতেন। ঘটনার দিন ০১ জুন ২০২৫খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার পর ভিকটিম আবাসন প্রকল্পের ঘর হতে বাহির হয়। পরবর্তীতে ০২ জুন ২০২৫ তারিখ ভিকটিমের পরিবার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারে নান্দাইল থানার মহেষকুড়া এলাকার জনৈক আব্দুল হেলিম এর আমবাগানে (যাহা আশ্রয়ন প্রকল্প হইতে অনুমান ৪০০ গজ উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত) ভিকটিমের লাশ আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। বাদী সহ আত্মীয় স্বজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের রক্তাক্ত লাশ আমগাছের ডালে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন এবং পরবর্তীতে মাথার ডান পাশে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম দেখতে পায়। তখন আশেপাশের লোকজনদের নিকট জানিতে পারে যে, নিহত সুজন মিয়া ০১ জুন ২০২৫ তারিখ রাত অনুমান ১০:০০ ঘটিকার পর ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছিল। উক্ত ঘটনাস্থল আমবাগান সহ আশপাশ এলাকায় স্থানীয় বখাটে যুবক রুবেল মিয়া (৩২), জেলা-কিশোরগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাতনামা কয়েকজন প্রায়দিনই নেশা সহ অসামাজিক কার্যকলাপ করিত।
ভিকটিম সরল মনে তাদের অসামাজিক কার্যকলাপে বাঁধা দেওয়ায় ইতোপূর্বে উক্ত রুবেল মিয়া দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩, তারিখ-০২ জুন ২০২৫খ্রিঃ, ধারা- ৩০২/৩৪ পেনাল কোড। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকে আসামিরা গা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে থাকে। মামলা রুজুর পর র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে তৎপর হয়।
২। এরই প্রেক্ষিতে, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর একটি আভিযানিক দল ধৃত অভিযুক্তের বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২২ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০৩:১৫ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার চরমছলন্দ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার হত্যা মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত জজ মিয়া (৪০), জেলা-ময়নমনসিংহ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। একই কোম্পানীর অপর একটি আভিযানিক দল ধৃত অভিযুক্তের বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ২২ অক্টোবর ২০২৫খ্রিঃ রাত আনুমানিক ০৪:২০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার দেওয়ানগঞ্জ গুচ্ছগ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে একই মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অপর অভিযুক্ত কাঞ্চন মিয়া (৪৮), জেলা-ময়নমনসিংহ’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
# উল্লেখ্য যে, সিপিএসসি, র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ এর একটি আভিযানিক দল গত ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রিঃ আনুমানিক ১১:৫০ ঘটিকায় গাজীপুর জয়দেবপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার তদন্তে প্রাপ্ত অভিযুক্ত সাত্তার (৫৫) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত’দ্বয়ের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।