মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক কার্যক্রমের মধ্যেই যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ব্যানারে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের ইমামগঞ্জ বাজার এলাকায় স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ সমর্থিত নেতাকর্মীরা এই মিছিল বের করেন।মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিরাজদিখান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম লিটু।
এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে এসআই কামরুজ্জামান সিকদার, কনস্টেবল শফিকুল ও কনস্টেবল বাদশা মিয়াকে ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নিষিদ্ধ হলেও ছাত্রলীগের পাশাপাশি যুবলীগের বহু নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন। প্রকাশ্যে এই মিছিল দেখে সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মিছিলটি ইমামগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করে।
এ সময় মিছিলের ঠিক পেছনে পুলিশের একটি টহল গাড়ি চলতে দেখা যায়, যা ঘটনাটিকে আরো প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত করে তুলেছে। শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরদিন সকালেই আকস্মিকভাবে বের হওয়া এই মিছিল নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মাঝে।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, মিছিল চলাকালীন ডিউটিরত পুলিশের একটি টহল গাড়ি ওই সড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে আটক না করায় তিন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ক্লোজড করা হয়েছে।