সাফায়েত হোসেন, দশমিনা থেকে:
পিয়ারা বেগম (৬০) স্বামী আব্দুল সরদার মারা গেছেন বহু বছর আগে। তেতুলিয়া নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে আশ্রয় হয় দশমিনার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জননী পিয়ারা বেগম বড় ছেলে মাসুদ সরদারের স্ত্রী সন্তানের সঙ্গে ওই আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি ঘরে বসবাস করেন। ছেলে মাসুদ সরদার দিনভর ভাড়ায় রিকসা চালিয়ে যা রোজগার করেন তাই দিয়ে ৫ জনের পেট চলে। দ্বিতীয় দফা লকডাউন শুরু হলে রিকসা চালানো বন্ধ হয়ে যায় মাসুদের। আর কোন আয় রোজগার না থাকায় বনের শাকপাতা রান্না করে খেয়ে চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম। দশমিনা উপজেলার ৯টি আশ্রয়ন প্রকল্পে বসবাসকারী ৪৩০টি পরিবারের জীবন চলছে এভাবেই। নদী ভাঙন সহ সহয় সম্বলহীন মানুষগুলো বিভিন্ন সময় আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর গুলোতে। আশ্রয়নের বাসিন্দা দিন মজুর বাবুল মৃধা জানান, লক ডাউন শুরুর পর থেকে কোন কাজ নেই তার হাতে তাই কোন রকম খেয়ে না খেয়ে বেচেঁ আছেন পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে। নিজাবাদ আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা দিনমজুর নজির হোসেন জানান,লক ডাউন শুরুর পর থেকে কেউ তাদের সাহায্য সহায়তা করেনি তাই স্ত্রী সন্তান সহ ৬ সদস্যর পরিবার নিয়ে চরম অভাব অনটনে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাদের। আলীপুর ইউনিয়নের ৪টি আশ্রয়ন প্রকল্পে প্রায় ২০০ পরিবারের বসবাস ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদসা ফয়সাল আহমেদ জানান, দ্বিতীয় দফা লক ডাউনে এখনো কোন প্রকার সরকারি সাহায্য সহায়তা আসেনি তবে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে আশ্রয়নের মানুষদের সাহায্য সহায়তা করে যাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল আমিন জানান, এখনো সরকারি ভাবে কোন প্রকার বরাদ্দ আসে নি এলে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সাহায্য পৌছে দেওয়া হবে।