ঢাকাপ্রতিদিন নারী ও শিশু ডেস্ক : সদ্যোজাত শিশুকে গোসল করানো নিয়ে নানা জনের নানা রকম মত। কেউ বলেন, প্রতিদিন গোসল করানো একেবারেই ঠিক নয়, আবার কারও কারও ধারণা গোসল না করালে শিশুর শরীর খারাপ হতে পারে।
বয়স ১ বছরের উপর হলে, তখন চিন্তা থাকে প্রতিদিন গোসল করালে যদি শিশুর ঠান্ডা লেগে যায়। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরম, তীব্র তাপপ্রবাহের সময়ে শিশুকে ঠান্ডা পানিতে না গরম পানিতে গোসল করাবেন, কত বার করাবেন? সে নিয়ে অনেক বাবা-মায়েরই প্রশ্ন থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক গরমের সময়ে কীভাবে গোসল করালে শিশুর শরীর ভাল থাকবে এবং ঠান্ডা লাগবে না।
প্রতিদিন গোসল করালে শিশুর ত্বক খারাপ হয়ে যাবে বা শরীর খারাপ হবে, এই ধারণা ভুল। এমনটাই জানালেন শিশুরোগ চিকিৎসকরা। শিশুদের ত্বক বড়দের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি নরম ও স্পর্শকাতর হয়। তাই গোসলের পরে ত্বকের পরিচর্যা নিয়ম মেনেই করতে হবে অভিভাবককে।
তাদের পরামর্শ, গরমে প্রতিদিন গোসল করানোই যায়, তবে নির্দিষ্ট সময়ে মেনে তা করতে হবে। কী কী নিয়ম মানতে হবে বলে দিলেন তিনি।
গোসলের সময়
প্রতিদিন একই সময়ে গোসল করানোর চেষ্টা করবেন। সকালের দিকে গোসল করালেই ভাল। বেলার দিকটা এড়িয়ে চলাই ভাল।
ঈষদোষ্ণ পানিতে গোসল
গরম মানেই কনকনে ঠান্ডা পানিতে গোসল করাবেন না। অনেকেই রাতভর পানি ভরে রাখেন। সকালে সেই ঠান্ডা পানিতে ছোটদের গোসল করান। এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে খুব তাড়াতাড়ি। শীত হোক বা গরম, শিশুকে ঈষদোষ্ণ পানিতে গোসল করানোই উচিত। পানি যেন খুব বেশি গরম না থাকে, তা দেখে নিতে হবে।
ঘণ্টার পর ঘণ্টা পানিতে নয়
গরম যতই তীব্র হোক, গোসলের সময়ে ১৫ মিনিট রাখাই ভাল। পাঁচ বছর বয়স অবধি শিশুদের ঈষদোষ্ণ পানিতে অল্প সময় গোসল করানোই ভাল। গোসলের পরেই ভাল করে গা, হাত-পা মুছে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে দিতে হবে।
বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান নয়
গোসল মানেই প্রতিদিন সাবান বা শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন না। নরম সুতির কাপড় বা স্পঞ্জ দিয়ে শিশুর গা আলতো করে মালিশ করে দেবেন। দৈনিক সাবান মাখানোর প্রয়োজন নেই, এতে শিশুর ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যাবে। গোসলের পরে বরং অলিভ অয়েল বা ময়েশ্চারাইজার মাখাতে পারেন। কী ধরনের ক্রিম শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী হবে, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।
বাইরে থেকে এসেই গোসল নয়
শিশুকে যদি বাইরে নিয়ে যান, তাহলে ফিরেই গোসল করাবেন না। ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১৫-২০ মিনিট থাকার পরে গোসল করাতে হবে। যদি দেখেন গরম থেকে ফিরে শিশুর শরীর হচ্ছে বা অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই গোসল করাবেন।
নজর দিন পোশাক-আশাকে
গোসলের পরে হালকা জামাকাপড়ই পরাতে হবে। খুব টাইট পোশাক বা সিন্থেটিক, জর্জেটের পোশাক না পরানোই ভাল। এতে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর