নেতৃত্ব দেয়ার গুনে তৈরি হয় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কর্মী। আর এই দক্ষতা তৈরী হয় ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই। এতে পরবর্তীতে ভিন্ন সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়াও সহজ হয়। সেই অসম্ভবকে সম্ভব করে গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখা। তাদের উদ্যেগেই উপজেলার আওয়ামী লীগ ও সকল সংগঠন একটি পরিবারে রূপান্তরিত হয়।
সঠিক নেতৃত্ব তৈরিই হয় ছাত্রলীগ থেকেই এটি কোন ভাবেই অস্বীকার করার উপায় নাই। সঞ্জিত কর্মকার ছাত্রলীগের তেমনই এক সোনালী অর্জন। বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এমনই একটি দল, যে দলটি যুগ যুগ ধরে একজন করে নেতৃত্ব তৈরি করে আসছে। যা অন্য কোনো দল তৈরি করতে পারে নাই, সেই নেতৃত্বের মাঝে তাড়াশে জন্ম নেয়া তেমনই এক নেতৃত্বের নাম সঞ্জিত কর্মকার। যা আরেকটা সৃষ্টি হবে কিনা সন্দেহ।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের, সঞ্জিত কর্মকারের ব্যক্তি ও রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে জানা যায়, মহেন্দ্র নাথ কর্মকার ও প্রভাতী কর্মকারের ৬ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সঞ্জিত কর্মকার। তার শিক্ষা জীবন এসএসসি ১৯৮৮ তাড়াশ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। এইচ এস সি ও বি এ(পাশ) যথাক্রমে ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন।
তার রাজনৈতিক জীবন, ১৯৯৩ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত তাড়াশ থানা ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ , তাড়াশ উপজেলা শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন। ২০১৩ সালের ২৫ জানুয়ারিতে কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ , তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৮ বছর দায়িত্ব পালন। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলরদের প্রত্যক্ষ ভোটে দ্বিতীয় বার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অদ্যাবধি দায়িত্ব পালন। ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ তাড়াশ এর চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতিকে নির্বাচনে অংশ গ্রহন।
বিএনপি জামাতের ২০০১ সালের বিস্ফোরক মামলায় কারাবরণ ছাড়াও আসামী ছিলেন ১৮ টি মামলার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট পরবর্তী নির্যাতিত পরিবার। ১৯৯০ সালের সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার ১৫ই ফেব্রুয়ারির প্রহসনের নির্বাচন প্রতিহত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন। ১/১১ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা পালন।
তার ব্যবসায়ীক বিবরণে জানা যায়, প্রথমে মুদি দোকান, কাপড়ের ব্যবসা ও পরবর্তীতে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার হিসাবে ব্যবসা শুরু, যা এখনও চলমান। তাড়াশ ডিগ্রী কলেজে প্রদর্শক পদে ২০০০ সালে যোগদান করে অদ্যবধী কর্মরত। ব্যক্তি জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম শিল্পি রানী, তিনি তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। বড় মেয়ে বে সরকারি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও ছোট মেয়ে হাই স্কুলের ছাত্রী। তার পরিবার আওয়ামী পরিবার এবং তার বড় ভাই মনোরঞ্জন কর্মকার একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা জনপ্রিয় ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেয়ার কথা ভাবছেন। আর এখানেই তাড়াশের তৃনমূল আওয়ামী লীগ সঞ্জিত কর্মকার’কে নিয়ে বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছে। সঞ্জিত কর্মকার তৃনমূল আওয়ামী লীগ এর বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর।