এসময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সোহাগি সামিয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়ে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এই শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেই এদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠা হবে বলে দেশবাসীর আশা। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় যদি মব জাস্টিসের কারণে মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে সেই আশা ব্যাহত হয়। যারা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের চর্চা করেছে তাদের দ্বারাই এই মব জাস্টিস হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা এখনো মাঠ ছেড়ে চলে যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ যদি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে চায় এবং প্রশাসন যদি তার প্রশ্রয় দেয় তাহলে তাহলে আমরা আবারও আন্দোলন গড়ে তুলব। দেশের জনতার আকাঙ্ক্ষাকে আমরা ধারণ করি। এজন্য মাঠে ছিলাম, মাঠেই থাকব।
তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বল প্রশাসনের কারণে ছাত্রলীগ বিগত বছরগুলোতে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জলকে দফায় দফায় পিটানো হয়েছে কিন্তু প্রশাসন সেখানে হাজির হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রক্টর অফিসে একজন মানুষকে দফায় দফায় মারা হলো কিন্তু প্রশাসন কোনো আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমরা হুশিয়ারি দিতে চাই, প্রশাসন যদি সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে কঠিন প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিতে পারে তাহলে আমরা প্রশাসনের দায়িত্ব নেব।’
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আ.র.ক রাসেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লাকে যে মব জাস্টিস মেরেছে তারা পুলিশের কাছে তুলে দিতে পারতো। কিন্তু তারা তা করেনি। কয়েক দফায় মারের পর তারা প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দিয়েছে সত্য কিন্তু প্রক্টর অফিসে নিরাপত্তা কর্মীদের উপস্থিতিতে তার ওপর (শামীম মোল্লা) নির্মম অত্যাচার করা হয়। নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে যখন তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়, মারধর করা হয় তখন প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তারা কোথায় ছিলেন? দেশের আইন অনুযায়ী পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায়, নিরাপত্তা শাখায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় যারা কারো যদি মৃত্যু হয় তাহলে যারা মারছে তাদের পাশাপাশি ওই হেফাজতকর্মীদেরও দায় দায় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা যিনি হত্যা মামলার আসামি তার দায়িত্ব পালনকালে তার উপস্থিততে শামীম মোল্লার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলছেন, “বাধা দিয়েছিলেন” তাহলে মানুষ মারা গেলো কেনো?’