বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
শুধু ছাগলকাণ্ডের মতিউর নয়, বিতর্কিত সব কর্মকর্তাকে ধরা হবেঃ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কারাগারে অসুস্থ সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার, ঢামেকে ভর্তি যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ পর্যায়ে, চুক্তি শিগগিরই: কাতার উইজডেনের বর্ষসেরা ওয়ানডে দলে তাসকিন বৃহস্পতিবার মুক্তি পাচ্ছেন লুৎফুজ্জামান বাবর ডেসটিনি’র এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছর করে কারাদণ্ড সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৩টি রিসোর্ট পুড়ে ছাই টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতি আ.লীগ নেতা নাছিমের বিবৃতি, নেতাকর্মীদেরকে ‘বীর’ দাবি প্রধান উপদেষ্টার কাছে ৪ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ‘সারজিসসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দ করেছে সেনাবাহিনী’ যা জানা গেল হত্যাচেষ্টা মামলায় সালমান-পলক চার দিনের রিমান্ডে অবশেষে টিউলিপের পদত্যাগ দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার মানুষ চায় জনগণের সরকার : আমিনুল পাকিস্তান থেকে আতপ চাল আমদানির চুক্তি স্বাক্ষর উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে কার্যকর ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের প্রথমবার সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের নামে মামলা বিয়ের তিন মাসের মাথায় স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা, স্বামী আটক নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের অবস্থার উন্নতি হবে না : বরকতউল্লাহ বুলু বিএমডিএ’র সদর দপ্তরে দুদকের অভিযান, নথি তলব সন্তানদের নিয়ে পৃথিবীতে আরও বেঁচে থাকতে চান হুরে জান্নাত ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সেই মতিউর ও তার স্ত্রী গ্রেফতার কামিন্সকে পেছনে ফেলে ডিসেম্বরের আইসিসি সেরা বুমরাহ শীতকালীন নানা ধরনের মজাদার পিঠা বানাবেন যেভাবে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু ‘একদশ চার ১৪তে পুণ্যভূমি’ অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ সবাই খালাস ঘুষ লেনদেন: হাতেনাতে আটক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা শেরপুরে বিজিবি’র জনসচেতনতামূলক সভা

বিদেশে পাচার হওয়া টাকার কী হবে?

অনলাইন ডেস্ক :
সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

ঢাকাপ্রতিদিন প্রতিবেদক : বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলয়ের মধ্যে থাকা মন্ত্রী-এমপিসহ বেশ কয়েকজনের যুক্তরাজ্যে বিপুল সম্পত্তির সন্ধান মিলেছে বলে ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ানের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে।গার্ডিয়ানের দাবি, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠরা যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে ৪০ কোটি পাউন্ডের (৬ হাজার কোটি টাকা) বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন।

প্রতিবেদনে ঘনিষ্ঠদের মধ্যে সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো গ্রুপ, নজরুল ইসলাম মজুমদার ও তার নাসা গ্রুপ এবং সাবেক ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর নাম এসেছে।

এদিকে দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। অর্থাৎ গত ১৫ বছরে বিভিন্ন দেশে ২৪ হাজার কোটি ডলার অর্থ পাচার করা হয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে জনমনে একটিই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে, বিদেশে পাচার হওয়া এই বিপুল পরিমান টাকার গতি কী হবে?

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে এসব বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট ইউনিট কাজ করছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংকের কেন্দ্রীয় ইন্টিলিজেন্স ইউনিটের নেয়া পদক্ষেপগুলো গার্ডিয়ানের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকায় রাজস্ব বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, বেক্মিমকো ও বসুন্ধরা গ্রুপসহ কয়েকটি শিল্প গোষ্ঠীর বিষয়ে তারাও কাজ করছেন। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এর বিস্তারিত আর কিছু বলেননি ওই কর্মকর্তা।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে যে ধারণা পাওয়া গেছে তা হলো সিআইডির একটি টাস্কফোর্স কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় করে এসব শিল্প গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অর্থপাচারের যেসব অভিযোগ এসেছে সেগুলো তদন্ত করে দেখছে। ওই টাস্কফোর্সই মূলত দেখবে বিদেশে পাচার করা হলে সেই অর্থ কীভাবে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ বা টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে পাচারকৃত অর্থের পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি। গার্ডিয়ানের রিপোর্টে ৪০ কোটি পাউন্ডের কথা বলা হলেও এটি আরও অনেক বেশি হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনা সম্ভব, তবে এটি অনেক জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী বিষয়। বাংলাদেশ ও যে দেশে টাকা পাচার হয়েছে সেখানকার পারস্পারিক আইনি প্রক্রিয়ায় এটি সম্ভব।

ইফতেখারুজ্জামানের মতে, অল্প সময়ের মধ্যে এই টাকা ফিরিয়ে আনা সম্ভব কঠিন। তবে যেসব দেশে এসব শিল্পগোষ্ঠী সম্পদ গড়েছে তাদের সরকারগুলো বাংলাদেশের প্রতি এখন সহানুভূতিশীল। কিন্তু তারপরেও প্রথমত বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাকাটা যে পাচার হয়ে গেছে সেটা আদালতে প্রমাণ হতে হবে। বাংলাদেশে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো কাজ শুরু করেছে। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে উন্নত দেশে যেসব দেশ থেকে অর্থ পাচার হয়েছে তার এক শতাংশেরও বেশি ফেরত আসার দৃষ্টান্ত কম।

যেসব দেশে পাচার হওয়া অর্থ গেছে তারাও এর দায় এড়াতে পারে না বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সে দেশে টাকা নেয়া, বিনিয়োগ করাসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় অর্গানাইজড গোষ্ঠী সহায়তা করেছে। না হলে এটা হতে পারতো না।
সূত্র: বিবিসি বাংলা।
ঢাকাপ্রতিদিন/এআর


এই বিভাগের আরো খবর