স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্ভাবনী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পল্লি এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্বসহ বিবেচনায় নিয়ে কাজ করছে। তবে এর জন্য দরকার আমাদের সকলের উন্নত মানসিকতা ও উদ্ভাবনী চর্চা করা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সমবায়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সকল গ্রাম থেকে উদ্ভাবনী চর্চা শুরু হোক। এতে করে দেশের কৃষির চেহারাই বদলে যাবে। কৃষিতে আধুনিকায়ন উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য।
তিনি আরও বলেন, পল্লীর উন্নয়নের কথা মাথায় রেখেই জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার শপথ নিয়েছিলেন। আর সেই ধারাবাহিকতায় কাজ করে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ আয়োজিত সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ইনোভেশন শোকেসিং এবং শ্রেষ্ঠ উদ্ভাবনী পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সময়। তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে তাদের জ্ঞান ও মেধা নিয়ে। উচ্চপদস্থ থেকে নিম্নপদস্থ ভেদাভেদের উর্ধ্বে নিজের দেশের উন্নয়নে মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিদেশ থেকে পল্লির জন্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। এটাই আধুনিক সমবায়ের ভিত রচনা করবে। এভাবেই দেশের চেহারা বদলে যাবে।
এরপর মন্ত্রী পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা (বিআরডিবি, আরডিএ বগুড়া, বার্ড কুমিবাপার্ড পিডিবিএফ, এসএফডিএফ,উদ্ভাবন প্রযুক্তির শোকেসিং পরিদর্শন করে বলেন, এত অসাধারণ প্রযুক্তির উদ্ভাবন মূলত গবেষণার ফল। গবেষণা মানব উন্নয়ন সাধন করে।
তিনি দেশের সকল স্তরের শিক্ষানুরাগীকে গবেষণায় মনোযোগী হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহবান জানান। এরপর আবদুল ওয়াদুদ বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন এবং সকল অংশগ্রহণকারীকে প্রশংসায় ভূষিত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এলজিআরডি সচিব মোসাম্মাৎ শাহানারা খাতুন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য প্রদান করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।