সুনামগঞ্জের বাজারে আজ প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। আজ সেই কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়ে ৫০০ টাকা হয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও সরবরাহের ঘাটতি থাকায় দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম।
আজ শুক্রবার সুনামগঞ্জের সবজি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে। মরিচের এমন দাম বৃদ্ধিতে হতাশ ক্রেতারা। কেউ কেউ আবার মরিচ খাওয়া বাদ দিয়ে দেবেন বলছেন। কেউ আবার বলছেন, মরিচ কিনতেই যদি সব টাকা চলে যায় তাহলে কীভাবে হবে? তাই বলে কাঁচা মরিচের এত দাম! বিষয়টি যেন মানতেই পারছেন না বাজারে সবজি কিনতে আসা ক্রেতারা।
বাজার করতে আসা মাহমুদ জানান, ঠেলাগাড়ি ঠেলে দিনে আয় করি ৫০০-৬০০ টাকা। বৃষ্টির কারণে সেই আয় কমেছে। আমার সারাদিনের আয় দিয়েও এক কেজি কাঁচামরিচের দাম হচ্ছে না। মরিচ ৫০০ টাকা কেজি হলে আমরা কীভাবে দিনযাপন করব?
গৃহিণী নাজমা বলেন, মরিচের দামের কারণে আর আজ আর মরিচ কিনিনি। যাওয়ার পথে বোম্বাই মরিচ নিয়ে যাব। দাম কমার আগ পর্যন্ত মরিচ কিনব না।
দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টি আর স্থানীয় মরিচের সরবরাহ কম থাকার কারণেই দাম বেড়েছে । সবজি বিক্রেতা সবর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। তাই দামও বেড়েছে। আমরা তো আর ইচ্ছে করে দাম বৃদ্ধি করিনি। বেশি দামে কিনেছি তাই দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
ভাসমান সবজি বিক্রেতা রিংকুও বলেন, সারা দেশেই তো বৃষ্টি হচ্ছে। আর মরিচের দাম হঠাৎ করেই বেড়েছে এমন নয়। গত কদিন ধরেই দাম বেড়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম ৫০০ ছুঁয়েয়ে বলে আমরা শুনেছি। আশপাশের বিভিন্ন জেলায় ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বন্যা বা কোন দুর্যোগ ছাড়া কেন এমন দাম তার খোঁজ নিচ্ছি আমরা। কিন্তু সুনামগঞ্জে ব্যবসায়ীরা যদি সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ায় এমন প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।