অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব একটাই উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, যে ভয়াবহ জঞ্জাল তৈরি হয়েছে তা নির্মূল করে অতি দ্রুত একটি অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠিনে সভাপতিত্ব করেন জেএসডি সভাপতি স্বাধীনতা পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব। সঞ্চালনা করেন জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন যতো তাড়াতাড়ি হয়, রাষ্ট্র সংস্কার ততো তাড়াতাড়ি হবে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া রাষ্ট্র পরিবর্তনের কাজ দ্রুত করা সম্ভব নয়। নির্বাচন দেরি হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন আমাকে বিদেশি সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, বিশেষ করে ভারতের সাংবাদিক। তারা বলেন, ইউনূস কি ফেল করেছে? রাষ্ট্র চালাতে পারছে না? আমি বলেছি, গোটা দেশের মানুষ তার দিকে তাকিয়ে আছে। তার প্রতি জনগণের সমর্থন আছে।’
গণহত্যাকারীদের কোনো ক্ষমা নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা যেন ভুলে না যাই আওয়ামী লীগ, হাসিনা গণহত্যা করেছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘রাষ্ট্র সংস্কার চাই’ যে স্লোগান আমরা দেখেছি; সেটি যাতে বাস্তাবায়ন হয়। রাষ্ট্রের কাঠোমোগত পরিবর্তনের সাথে বিএনপি আছে। আমরা আগে থেকেই এ নিয়ে কথা বলছি।
জনগণ সমর্থন না দিলে রাষ্ট্র সংস্কারে কোনো ফল আসবে না জানিয়ে ফখরুর বলেন, তাই জনগণকে নিয়েই রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। বর্তমান সরকারের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। আমরা তাকে সম্মান করি। সরকারের যারা উপদেষ্টা আছেন, তারা এমন কোনো কথা বলবেন না যাতে আমরা আস্থা হারিয়ে ফেলি। বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
তিনি বলেন, আমরা যারা ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করতে চেয়েছি; গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছি। আমরা সে লক্ষ্য বাস্তবায়ন করেছি।